‘বেচাকেনা কেমন হচ্ছে সে কথা নাইবা বললাম, কিন্তু তিন মাস পর সন্ধ্যায় দোকানে বাতি জ্বলে উঠেছে দেখে অন্যরকম ভালো লাগছে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে নিকট ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে এমন আশায় বুক বেঁধে দোকানপাট খোলা রাখছি।'
Advertisement
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাউছিয়া মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলছিলেন ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় মার্কেট বন্ধ ছিল। গত ১ জুন থেকে মার্কেট খুলে দেয়া হলেও সরকারের নির্দেশে বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেত। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি আরেক নির্দেশে বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল ও বিপণি-বিতান সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়। আজ ছিল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখার প্রথম দিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ ও সোবহানবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল, মার্কেট, বিপণি-বিতান ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সকাল ও দুপুরের তুলনায় বিকেলে ক্রেতার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত বেশি ছিল। তাদের অধিকাংশই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরিধান করে এসেছেন। বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের জন্য শরীরের তাপমাত্রা নির্ধারক ও জীবাণুমুক্তকরণ যন্ত্রের পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে দেখা গেছে।
দোকান মালিকরা জানান, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতারা এখনও মার্কেটে আসছেন না। ফলে বেচাকেনা খুব একটা নেই। তাদের বেশিরভাগই দোকানে ঢুঁ মেরে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনে দ্রুত চলে গেছেন। বড় বড় মার্কেটের দোকানপাটের তুলনায় ফুটপাতে বেচাকেনা বেশি হতে দেখা গেছে।
Advertisement
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী তুহিন আহমেদ বলেন, গত ১ জুন থেকে দোকান খোলা রাখলেও সারা মাসে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারেননি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকলেও ৩টা থেকেই দোকান বন্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত। ফলে গত মাসে দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতনের খরচে ওঠেনি। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি কড়ায় বেচাকেনা কিছুটা বাড়তে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এমইউ/এমএসএইচ/পিআর