গারো পাহাড়ের পাদদেশে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী সিংগাবরূনা ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদে ভারত থেকে নেমে আসা একদল বন্যহাতি গত দুইদিন যাবত তাণ্ডব চালাচ্ছে। এতে করে পাহাড়ি জনপদে বসবাসকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। জনমনে ভীতি ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাতির আগমনে সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের মানুষ তাদের অতিকষ্টে রোপণকৃত আমন ফসল বন্যহাতির কবল থেকে রক্ষা করতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ভারতের গহীন অরণ্য থেকে ৩০/৪০ টির মতো বন্যহাতির একটি দল ঝুলগাঁও গ্রাম অতিক্রম করে রাজার পাহাড়ে অবস্থান নেয়। ভারত থেকে হাতি আসার সময় ঝুলগাঁওয়ের পার্শ্ববর্তী হাতিবর গ্রামের কৃষক একুল মিয়ার ১০ কাঠা, আব্দুর রউফের ৮ কাঠা, গনি মিয়ার ১০ কাঠা, নুর আলমের ১০ কাঠা ও আবু তাহের মিয়ার এক একর জমির কাঁচা আমন ধান খেয়ে সাবার করেছে। শনিবার সকাল থেকে ওই এলাকার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলবদ্ধভাবে লাঠি-সোঠা ও কেরোসিন তেলে আগুনের মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সিংগাবরূনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু রায়হান বাবুল বলেন, ভারত থেকে আসা বন্যহাতির দল এ এলাকায় প্রবেশ করে অনেক কৃষকের কাঁচা আমন ধান খেয়ে সাবাড় করেছে। আমরা এলাকার লোকজন মিলে দিন-রাত দলবদ্ধভাবে লাঠি সোঠা, লোহার রড, টর্চ লাইট এবং কেরোসিন মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে চেষ্টা করছি। যাতে করে হাতি কবলিত এ অঞ্চলের সাধারণ কৃষকের জান মালসহ আমন ধান রক্ষা পায়। স্থানীয় ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রাঞ্জল এম. সাংমা বলেন, কয়েকদিন আগে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সীমান্তে দুইটি বন্যহাতি বিদ্যুতের ফাঁদে মারা পড়ায় বন্যহাতির দল উন্মত্ত হয়ে ওঠেছে। এসব বন্যহাতির দল পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে এসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। হাকিম বাবুল/এমএএস/আরআইপি
Advertisement