বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা ছাড়াই আইনজীবী ঘোষণা করে গেজেট দেয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ দাবি জানান।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক) প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীকে কালবিলম্ব না করে আইনজীবী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সংগ্রাম পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এবং চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীবৃন্দ। দীর্ঘদিন ধরে বার কাউন্সিল কর্তৃক এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোনো এনরোলমেন্ট পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশন করি। ওই অনশনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ পরীক্ষার প্রিলিমিনারি সম্পন্ন হয় এবং ওই পরীক্ষায় ৯ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হই। এছাড়াও পূর্বের ২০১৭ সালের পরীক্ষায় এমসিকিউ উত্তীর্ণ আরও প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী পাস করে লিখিত পরীক্ষার আশায় বসে আছি।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আমরা দেখেছি, দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই সর্বশেষ (২০১৭ সালে) এনরোলমেন্ট পরীক্ষা (এসমসিকিউ, লিখিত ও ভাইভা) সম্পন্ন হতে সময় লেগেছে এক বছর ৫ মাস। সেক্ষেত্রে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা কবে নিরসন হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কেউই বলতে পারে না। বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষাও সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি। যদি আগামী ১১ মাসের মধ্যে বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটি কোনো এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে না পারে, তবে বর্তমান কমিটিই হবে বার কাউন্সিলের ইতিহাসে একমাত্র কমিটি যে কমিটির অধীনে কোনো এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে না।
তাই বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে লিখিত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনা নিয়ে তাদের লিখিত পরীক্ষা মওকুফ অথবা লিখিত ও ভাইভা উভয় পরীক্ষা মওকুফ করে ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশ করে সনদ প্রদানের দাবি জানানো হয়।
পরিষদের আহ্বায়ক সুমনা আক্তার লিলি ও সদস্য সচিব আইনুল ইসলাম বিশালসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই দাবিতে ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের লিখিত বা লিখিত ও ভাইভা উভয় পরীক্ষা মওকুফ করে সনদের দাবিতে সারা দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়।
Advertisement
এফএইচ/এফআর/এমকেএইচ