ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনা প্রতিরোধ করতে পারে কিনা তা জানতে বৈশ্বিক ট্রায়াল আবারও শুরু হতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এমএইচআরএ) অনুমোদনের পর এই ওষুধটির পরীক্ষা পুনরায় শুরু হচ্ছে।
Advertisement
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ওষুধটি প্রয়োগে কোনও উপকার পাওয়া যায়নি বলে গবেষণার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর নতুন করে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমএইচআরএ।
এবারের পরীক্ষায় নতুন করে বিক্ষিপ্তভাবে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণদের মাঝে ওষুধটি প্ল্যাসেবো-নিয়ন্ত্রিত উপায়ে প্রয়োগ করা হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে থাইল্যান্ডে অক্সফোর্ডের সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান মাহিদল অক্সফোর্ড ট্রোপিক্যাল মেডিসিন রিসার্চ ইউনিট (এমওআরইউ) এই পরীক্ষা চালাবে। গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, করোনার চিকিৎসায় গেম চেঞ্জার ওষুধ হতে পারে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন। মার্কিন খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ওষুধটির নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রমাণিত নয় বলে জানানোর পরও তিনি ওষুধটি সেবন করছেন বলে জানান।
কিন্তু কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধটি জরুরি ব্যবহারের অনুমতি বাতিল করে দেয় এফডিএ। দেশটিতে করোনা রোগীদের ওপর ওষুধটির পরীক্ষায় কোনও উপকার পাওয়া যায়নি বলে ফল আসার পর ওই সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।
Advertisement
ট্রাম্প বলেন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এখনও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এটি বিক্ষিপ্তভাবে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
অক্সফোর্ডের গবেষকরা বলেছেন, ওষুধটির পরীক্ষা পুনরায় শুরুর করার জন্য চলতি সপ্তাহেই ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে থেকে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেয়া হবে। এবারে থাইল্যান্ডের পাশাপাশি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ওষুধটির পরীক্ষা চালানো হবে। এই পরীক্ষার ফল চলতি বছরের শেষের দিকে পাওয়া যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসআইএস/এমকেএইচ
Advertisement