হটস্পট কুমিল্লায় রেড জোন, লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেও থামানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সরবরাহকৃত তথ্যে নতুন করে আরও ১৯৯ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর দেয়া হয়েছে।
Advertisement
এ নিয়ে জেলায় করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০০ জনে। এছাড়া শুধু সরকারি তথ্য মতে নতুন করে আরও ছয়জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ জনই মহানগরীতে। বিকেলে এসব তথ্য জানান কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান।
সিভিল সার্জন আরও জানান, করোনা পরীক্ষায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রাপ্ত ৯৪৭টি রিপোর্টের মধ্যে নতুন করে ১৯৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বর্তমানে নগরীর চারটি ওয়ার্ডে চলছে লকডাউন, সেই নগরীতেই নতুন সংক্রমণ ৯০ জন।
এছাড়া আদর্শ সদরে ৯, লাকসামে ১৭, চৌদ্দগ্রামে ২০, লালমাই ৪, দাউদকান্দি ৫, হোমনা ৩, বুড়িচং ৪, মনোহরগঞ্জ ৪, নাঙ্গলকোটে ১৩, বরুড়ায় ১০, ব্রাহ্মণপাড়ায় ২, মুরাদনগরে ৫, দেবিদ্বার ৯, সদর দক্ষিণ ২ এবং তিতাস ও মেঘনা উপজেলায় একজন করে পজিটিভ ব্যক্তি রয়েছেন।
Advertisement
এছাড়া মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুসারে করোনা পজিটিভ হওয়া মৃত ছয়জনের মধ্যে লাকসাম, সদর দক্ষিণ, মুরাদনগর, চৌদ্দগ্রাম ও মনোগঞ্জের একজন করে ব্যক্তি রয়েছেন। লাকসাম ব্যতীত অপর পাঁচ ব্যক্তিই কুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ জনে।
সিভিল সার্জন অফিসের অফিসিয়াল ফেসবুকে করোনার সর্বশেষ আপডেট (বিকেল ৫.২০ মি.) থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলা থেকে ১৮ হাজার ৯২২ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ১৭ হাজার ৯৪২ জনের। এর মধ্যে মোট পজিটিভ এসেছে ৩ হাজার ৫০০ জনের। আজ ১২৩ জন সুস্থ হওয়াসহ এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৪০ জন।
করোনা ইউনিটে শিশুসহ চারজনের মৃত্যু
অন্যদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এক শিশু ও দুই নারীসহ চারজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
Advertisement
তাদের মধ্যে দুজন নারী, এক শিশু এবং এক পুরুষ। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। মৃতরা হলেন- জেলার আদর্শ সদর উপজেলার শিশুসন্তান আইরিন (৮), কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকার আয়শান বিবি (৬০), সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার সেলিম হোসাইন (৫৩) এবং চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার নূরজাহান (৬৫)।
কামাল উদ্দিন/এমএএস/এমকেএইচ