করোনাভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্বজুড়েই মহামারী লেগেছে। এর সংক্রমণ এড়াতে মার্চ মাসের শেষ থেকে ভারতে শুরু হয়েছে লকডাউন। এখন দেশটিতে ক্রমশ আনলকের দিকে এগোলেও করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়।
Advertisement
এই কয়েক মাসের মধ্যে অনেক তারকাই করোনা মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেউ অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, কেউ আবার পিপিই, কিট বা মাস্ক কিনে সাহায্য করেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের।
আবার অনেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থসাহায্য করেছেন। এ সব তারকাদের মধ্যে অক্ষয় কুমার ও সোনু সুদকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা।
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় শহিদদের জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। তখন থেকেই সমাজসেবক হিসেবে আলোচিত তিনি। এবার করনো আবহেও তার অনুদান চোখে পড়ার মতো।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দিয়েছেন এই অভিনেতা। এছাড়া টেলিভিশের দুস্থ কলাকুশলীদের দিয়েছেন ৪৫ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়। করোনা আবহে দুস্থ মহিলাদের স্যানিটারি প্যাড বিতরণও করেছেন তিনি।
এদিকে অভিনেতা সোনু সুদ তো মানবতার এক চূড়ান্ত নিদর্শন সৃষ্টি করেছেন। আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। প্রথম দফায় ১০টি বাস ভাড়া করে মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। ক্রমে সেই পরিসর বাড়তে থাকে। বাস করে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর পাশাপাশি চার্টার্ড বিমানেরও বন্দোবস্ত করেন তিনি।
এছাড়া পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিজের হোটেলের দরজা খুলে দেন সোনু সুদ।
অক্ষয় কুমার ও সোনু সুদের এই অবদানের জন্য নেটিজেনরা দাবি তুলেছেন তাদের দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’-এ ভূষিত করা হোক। তাদের অবদানের খতিয়ান দেখিয়ে একটি ছবিও বানানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, অক্ষয় কুমার পুলওয়ামার শহিদদের ৫ কোটি, অসমের বন্যায় ২ কোটি, চেন্নাইয়ের বন্যায় ১ কোটি টাকা দেওয়া ছাড়াও অনেক কাজ করেছেন। ‘ভারত কে বীর’-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
Advertisement
অন্যদিকে সোনু সুদ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন। পাঞ্জাবের চিকিৎসকদের পিপিই কিট দিয়েও সাহায্য করেছেন তিনি। এমন দুই ব্যক্তিত্বকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া উচিত বলে দাবি উঠেছে নেটদুনিয়ায়।
পাশাপাশি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও এই দাবি করেছেন।
এলএ/এমকেএইচ