নামাজের সালাম ফেরানোর পর সবার মুখে মুখে একবার 'আল্লাহু আকবার' এবং তিনবার 'আসতাগফিরুল্লাহ' তথা ইসতেগফারের ধ্বনি ওঠে। কিন্তু কেন? নামাজের সালাম ফেরানোর এ ইসতেগফার পড়ার কারণ কী?
Advertisement
নামাজের পর ইসতেগফার কেন পড়বেন? এর প্রথম উত্তর হলো- এটি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম একটি আমল। হাদিসে এসেছে-‘রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজের সালাম ফেরাতেন, তখন সর্ব প্রথম যে শব্দ তাঁর পবিত্র জবান থেকে বেরত হতো, তাহলো- আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।‘
চিন্তা করার বিষয় হল, কেন তিন বার ইসতেগফার পড়তেন? কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনা মতে, গোনাহ বা অন্যায় কাজ সংঘটিত হলেই ইসতেগফার পড়া হয়। আর নামাজ তো হলো ঈমানের পর ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। নামাজের পুরোটাই তো সাওয়াব আর সাওয়াব। তবে নামাজ শেষে কেন ইসতেগফার?
‘ইসলাম আওর হামারি জিন্দেগি’ গ্রন্থে এসেছে, ইসতেগফারএ জন্য করা হয়েছে যে, নামাজ যেভাবে হক আদায় করে পড়ার কথা; সেভাবে হক আদায় করে নামাজ পড়া হয়নি। যে নামাজকে মুমিনের জন্য মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সে কারণেই নামাজের সালাম ফেরানোর পরপরই ইসতেগফার পড়া হয়।
Advertisement
ইসতেগফার পড়ার সময় মুমিনের মনে এ অবস্থা বিরাজ করবে যে-ما عبدناك حق عبادتك و ما عرفناك حق معرفتكহে আল্লাহ! আমাদের থেকে আপনার ইবাদতের (নামাজের) হক আদায় হয়নি। না জানি কত ভুল কত বিচ্যুতি এই ইবাদতে (নামাজে) সংঘটিত হয়েছে। হে আল্লাহ! আমরা (নামাজের সালাম ফেরানোর পর পর সর্বপ্রথম সেই সব ভুল-ত্রুটির জন্য আপনার কাছে ক্ষমা চাই, যা এই নামাজে সংঘটিত হয়েছে।'
মুমিন মুসলমানের উচিত, নামাজের সালাম ফেরানোর পর পর উল্লেখিত অনুভূতি নিয়ে সুন্নাতের উপর আমলের নিয়তে ৩ বার ইসতেগফার পড়া। যথাযথ হক আদায় করে নামাজ পড়ার চেষ্টা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ হক আদায় করে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। নামাজের সালাম ফেরানোর পর পর ৩ বার ইসতেগফার পড়ার মাধ্যমে সুন্নাতের আমল জারি রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর
Advertisement