পাবনায় বেশিরভাগ ওষুধের দোকানে করোনাকে পুঁজি করে ফ্রিস্টাইল ব্যবসা চালাচ্ছেন। স্বাস্থ্য সামগ্রীগুলো ইচ্ছে মাফিক দামে গত কয়েকমাস ধরে বিক্রি করছেন। তবুও অসহায় ক্রেতারা কিনছেন। অধিকাংশ ওষুধের দোকানে স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।
Advertisement
এসব অভিযোগে সোমবার (২৯ জুন) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাবনা শহরের কয়েকটি ওষুধের দোকানে অভিযান চালান এবং প্রায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ জরিমানা করার প্রতিবাদে জোট বেধে ওষুধের দোকানদাররা আকস্মিকভাবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি ধর্মঘট পালন করেন।
পরে ব্যবসায়ী নেতাদের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যায় আবার ওষুধের দোকান খোলা হয়। ওষুধ দোকানদারদের এমন সুবিধাবাদি আচরণে সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্কসহ নিম্নমানের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বেশি দামে পাবনা শহরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার পাবনা শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের ৫টি ওষুধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ওইসব দোকানে প্রায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাত হোসেন জানান, করোনাকালে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক না পড়া, নিম্নমানের মাস্কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ইচ্ছেমতো বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে শহরের ৫টি দোকানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ কমবেশি অনেক দোকানেই নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় এবং সেই ভিত্তিতে সহনীয় পর্যায়ে জরিমানা করে তাদেরকে সতর্ক করা হয়।
এনডিসি আরও বলেন পরে শুনেছি, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পরপরই তিনি সবাইকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে অনেক দোকানপাট এক সাথে বন্ধ করে রাখেন। পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী বলেন, করোনাকালে ওষুধের দোকানে ধর্মঘট করা অমানবিক। তাই তারা দোকানদারদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে বলেন এবং তারা এক ঘণ্টা পরই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছিল-সেই বিষয় নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের সঙ্গে পরে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
এমএএস/জেডএ