মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আপরকাঠি গ্রামের বিল্লাল দেওয়ানের স্ত্রী মারুফা বেগমের (২৮) বুকব্যথা। তিন বছরের ছেলে আবু তালহাকে নিয়ে দুলাভাই শামীম ব্যাপারীর সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন মারুফা। কিন্তু ডাক্তার আর দেখানো হলো না তার।
Advertisement
সোমবার (২৯ জুন) রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তাদের তিনজনসহ এ পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মারুফা এবং ছেলে আবু তালহাকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল কবরস্থানে দাফন করা হয়। দুলাভাই শামীম ব্যাপারীর বাড়ি সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া এলাকায়। তাকে ওই এলাকায় দাফন করা হয়।
সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম লঞ্চঘাট থেকে অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে মর্নিং বার্ড লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তারা। সকাল ৯টার দিকে ময়ূর-২ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে লঞ্চে থাকা মারুফা, তার ছেলে আবু তালহা ও দুলাভাই শামীমের মরদেহ উদ্ধার করেন উদ্ধার কর্মীরা।
Advertisement
এএম/জেআইএম