রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির দুর্ঘটনার স্থান এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
আজ সোমবার (২৯ জুন) প্রতিমন্ত্রী ঢাকার সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চ দুর্ঘটনার স্থান এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-দুর্যোগ তহবিল থেকে দেড় লাখ করে টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া লাশ দাফনের জন্য বিআইডব্লিউটিএর নৌ-দুর্যোগ তহবিল থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
Advertisement
লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত একজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী ৮ জন এবং তিনজন শিশু। বাকি দু’জনের বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
জেএ/এসএইচএস/এমএস
Advertisement