করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে জনগণের ওপর চাপ দিয়ে সরকার বিদ্যুত-গ্যাস-পানির বিল, কর আদায় করছে অন্যদিকে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো এনজিওগুলো ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। চলমান দুর্যোগকালীন সময়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষের কাছ থেকে বিল, কর, ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
Advertisement
সোমবার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, বর্তমানের এই দুঃসময়ে ইলেক্ট্রিক বিল, ইনকাম ট্যাক্স, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স, মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স ও অন্যান্য যেসব ট্যাক্স আছে তা আপাতত বন্ধ করা উচিত। এ কারণেই যে, এখন মানুষের পক্ষে এসব ট্যাক্স দেয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বরং সরকার তা না করে এই ট্যাক্সগুলো আদায়ে জনগণের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।
ন্যাপের নেতৃদ্বয় আরও বলেন, করোনার এ সময়ে দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয় নেই। কিন্তু থেমে নেই এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায়। বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন কিস্তি আদায় স্থগিত করলেও মানছে না এনজিও কর্মকর্তারা। চলমান করোনা-মহামারিতে গভীর সংকটে পড়েছে শ্রমজীবী, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ। রুটি-রুজির সীমাহীন সংকটে পড়ে, খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এসব মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের জালে আটকে পড়ে আছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে, অনেক এনজিও দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায়ে বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমান অসহায় পরিস্থিতিতে এটা শুধু অমানবিকই নয়, অন্যায্যও বটে। এনজিওদের এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হচ্ছে, মরেও তাদের শোষণ থেকে মানুষের মুক্তি নেই। এ অবস্থা চলতে পারে না।
Advertisement
ন্যাপ তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ না রাখলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে সরকার ‘কাগুজে হুংকার’ দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করেছে। কিস্তি আদায় বন্ধ করতে সরকারের কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই। করোনা আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ এমনিতেই চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে কিস্তির যন্ত্রণা মেনে নেয়া যায় না। কিস্তির যন্ত্রণা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। করোনা-পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের সব ধরনের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে হবে। কিস্তি আদায় বন্ধে সরকারকে কার্যকর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কেএইচ/এমএফ/এমকেএইচ