রাজধানীর শ্যামবাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে গেছে। যেখানে লঞ্চটি ডুবেছে, তার উপরে নৌকা নিয়ে অবস্থান করে মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিস। এখন পর্যন্ত তারা ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারের পর মরদেহ মাঝ নদীতেই ফায়ার সার্ভিসের একটি বড় নৌকায় রাখা হচ্ছে।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিসের সেই বড় নৌকার চারপাশে ছোট ছোট নৌকা ভিড় করেছে। লঞ্চে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের মরদেহ শনাক্ত করতে বা খুঁজে পেতে এখানে অবস্থান করছেন। এতে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজে বাধা হচ্ছে। কারণ বড় নৌকার চারপাশে থাকা ছোট ছোট নৌকার নিচে প্রায় ১৬ জন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি কাজ করছেন। পানির নিচ থেকে উঠতে স্বজনদের সেই ছোট ছোট নৌকার কারণে ডুবুরিদের সমস্যা হচ্ছে।
এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস মাইক দিয়ে বারবার বলছে, ‘আপনারা সরে যান। আপনাদের নৌকার নিচে আমাদের ১৬ জন ডুবুরি কাজ করছেন। তাদের উপরে উঠতে সমস্যা হচ্ছে।’ তবে ফায়ার সার্ভিসের মাইকিং না শুনে নৌকার চারদিকে কান্নাকাটি করছেন স্বজনরা।
এর আগে সকাল ১০টায় এ লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন। পরে নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুইতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
এআর/পিডি/বিএ/এমকেএইচ
Advertisement