দেশজুড়ে

করোনায় মুক্তিযোদ্ধা বাবার মৃত্যু, এখন ছেলেও আক্রান্ত

কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান পিন্টু (৭২) শহরের হাউজিং ব্লক নং এ-৫১ এর বাসিন্দা। করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ জুন থেকে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একইসঙ্গে তার বড় ছেলে ব্যবসায়ী ফেরদৌস ইমামের (৪৬) করোনা শনাক্ত হয়েছে।

Advertisement

মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বরসহ করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তির দুই দিনের মাথায় ২৬ জুন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন বেলা ১১ টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দিয়ে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রদত্ত তথ্যে জানানো হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষার রিপোর্টে মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান পিন্টু কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ছিলেন।

এ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ৮ জন। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী।

Advertisement

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে রোববার মোট ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ১৯৭টি, নড়াইল জেলার ৭৮টি ও মেহেরপুরের ৭টি নমুনা ছিল। কুষ্টিয়া জেলায় নতুন করে ৩৬ জনকে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে (এবং ১ টি ফলোআপ পজিটিভ)।

নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে ৪ জন, কুমারখালীতে ৫ জন, ভেড়ামারায় ৪ জন এবং কুষ্টিয়া সদরে ২৩ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ১২ জন।

কুষ্টিয়া জেলায় এখন পর্যন্ত বহিরাগত বাদে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৭ জন। এর মধ্যে দৌলতপুরে ৭৯, ভেড়ামারায় ৭৪, মিরপুরে ৪১, সদরে ২৮৫, কুমারখালীতে ৭৭ এবং খোকসা উপজেলায় ২১ জন।

এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৭৯ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৬৪ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৬ জন। মৃত ৮ জনের মধ্যে কুমারখালী উপজেলায় ২, দৌলতপুরে ১, ভেড়ামারায় ১ এবং কুষ্টিয়া সদরে ৪ জন।

Advertisement

আল-মামুন সাগর/এফএ/পিআর