আন্তর্জাতিক

করোনায় বাবার মৃত্যু, একই পরিবারের ২৮ জন আক্রান্ত!

যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা রিচার্ড গ্যারে জুনের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হন। তার বাবাও আক্রান্ত হন একই সময়ে। তারও দুই সপ্তাহ পরে তার বাবা বিডাল গ্যারে মারা যান। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের পরিবারের ২৮ জন সদস্য কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।

Advertisement

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন রিচার্ড গ্যারের বরাতে এই খবর জানিয়ে বলছে, ওই পরিবারটি এখন একই সঙ্গে সবাই করোনার মতো একটি বৈশ্বিক মহামারির কবলে পড়ে বিপর্যস্ত, যেই নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইতোমধ্যেই ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

২৭ বছর বয়সী রিচার্ড গ্যারে বলেন, তিনি সবার সঙ্গে তার পরিবারের মর্মান্তিক এই গল্প ভাগাভাগি করতে চান, যাতে মানুষ বুঝতে পারে এই ভাইরাস কত ভয়াবহ এবং এর প্রকোপ কতটা বাস্তব। আর এই ভাইরাস কত দ্রুত এবং কত সহজেই একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমিত হয় তা জানুক সবাই।

গ্যারের পরিবারে আক্রান্তদের তালিকায় তার বাবা-মা, দুই বছরের এক সন্তানসহ আরও দুই শিশু সন্তান, দুই ভাই ও একজন অন্তঃসত্ত্বা বোনও রয়েছেন। শুধু তাদের নিজেদের মধ্যেই নয় ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়েছে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও। পুরো পরিবারটি এখন করোনায় বিপর্যস্ত।

Advertisement

গ্যারের বাবা বিডাল গ্যারে মারা যান বিশ্ব বাবা দিবসের একদিন আগে। গ্যারে বলছে, ‌‘আশা করি তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের তার জীবন রক্ষার বিষয়ে সচেতন হতে পারবেন। তিনি শুধু পরিসংখ্যানের অংশ হোক আমি চাই না। যদি তার এই গল্প জীবন বাঁচাতে পারে তাহলে এটাই এই গল্পের স্বার্থকতা।’

তিনি বলেন, প্রথম দিকে গুরত্ব না দিলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জ্বর শুরুর পর যা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। শ্বাস নিতে ও খাওয়ার ক্ষেত্রে দুজনেই সমস্যায় পড়ে সবাই। বাবা খেতে পারতেন না। ক্ষুধা ছিল না। তাকে চা চামচে স্যুপ খাওয়ানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।’

এসএ

Advertisement