আন্তর্জাতিক

৫৪ দেশের জন্য সীমান্ত খুলছে ইইউ, বন্ধ থাকছে বাংলাদেশের জন্য

করোনা মহামারিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমান্ত জুলাইয়ের শুরু থেকে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চীন, ভুটান, ভারতসহ বিশ্বের ৫৪টি দেশের নাগরিকরা ইইউর শেনজেন জোনে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের জন্য বন্ধই থাকছে শেনজেন সীমান্ত।

Advertisement

ইইউর ২২ দেশ এবং এর বাইরের চারটি দেশ নিয়ে শেনজেন জোন গঠিত। ইইউর পাসপোর্ট ফ্রি জোন হিসেবে পরিচিত শেনজেন। এই এলাকার যেকোনও দেশের নাগরিক শেনজেনভুক্ত যেকোনও সদস্য দেশ সফর করতে পারেন। শেনজেন এলাকায় কোনও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নেই।

চলতি সপ্তাহের আরও পরের দিকে সীমান্ত খুলে দেয়ার বিষয়ে সরকারি এক বিবৃতি জারির কথা রয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইইউর কর্মকর্তারা বলেন, প্রত্যেক দেশের মহামারি পরিস্থিতি, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপ, ভ্রমণের সময় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা; এসব বিষয় যাচাই করে এ তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

ইইউ যেতে পারবেন যে ৫৪ দেশের নাগরিকরা

Advertisement

১. আলবেনিয়া

২. আলজেরিয়া

৩. অ্যান্ডোরা

৪. অ্যাঙ্গোলা

Advertisement

৫. অস্ট্রেলিয়া

৬. বাহামাস

৭. ভুটান

৮. বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা

৯. কানাডা

১০. চীন

১১. কোস্টা রিকা

১২. কিউবা

১৩. ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া

১৪. ডোমিনিকা

১৫. মিসর

১৬. ইথিওপিয়া

১৭. জর্জিয়া

১৮. গায়ানা

১৯. ভারত

২০. ইন্দোনেশিয়া

২১. জ্যামাইকা

২২. জাপান

২৩. কাজাখস্তান

২৪. কসোভো

২৫. লেবানন

২৬. মৌরিশাস

২৭. মোনাকো

২৮. মঙ্গোলিয়া

২৯. মন্টিনিগ্রো

৩০. মরক্কো

৩১. মোজাম্বিক

৩২. মিয়ানমার

৩৩. নামিবিয়া

৩৪. নিউজিল্যান্ড

৩৫. নিকারাগুয়া

৩৬. পালাউ

৩৭. প্যারাগুয়ে

৩৮. রুয়ান্ডা

৩৯. সেইন্ট লুসিয়া

৪০. সার্বিয়া

৪১. দক্ষিণ কোরিয়া

৪২. তাজিকিস্তান

৪৩. থাইল্যান্ড

৪৪. তিউনিশিয়া

৪৫. তুরস্ক

৪৬. তুর্কমেনিস্তান

৪৭. উগান্ডা

৪৮. ইউক্রেন

৪৯. উরুগুয়ে

৫০. উজবেকিস্তান

৫১. ভ্যাটিকান সিটি

৫২. ভেনেজুয়েলা

৫৩. ভিয়েতনাম

৫৪. জাম্বিয়া

গত ১১ জুন ইউরোপীয় কমিশনের শেনজেন সীমান্ত ১৫ জুন থেকে পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন করে। এতে ইউরোপীয়রা মহামারির আগে শেনজেন অঞ্চলে যেভাবে অবাধ চলাচল করতে পারতেন, সীমান্ত খুলে দেয়া হলে একইভাবে অবাধ চলাচলের সুপারিশ করা হয়।

ইউরোপীয় কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, আগামী ১ জুলাই থেকে ইইউর সদস্য দেশগুলোতে তৃতীয় দেশের নাগরিকদের প্রবেশ শুরু করতে দেয়া উচিত। তৃতীয় দেশের মহামারি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ধারাবাহিক এবং আংশিকভাবে এটি করা উচিত।

সূত্র: গালফ নিউজ।

এসআইএস/এমকেএইচ