টাঙ্গাইলের সখীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক (৬৬)। পরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে তিনি মারা যান।
Advertisement
মোজাম্মেল হক উপজেলার গোহাইলবাড়ী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় তার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক দল স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার স্বজনদের উপস্থিতিতে দাফন কাজ সম্পন্ন করে।
মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহার্তা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানায় চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি অবসরে ছিলেন।
Advertisement
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ওসমান গণি জানান, গত ৮ জুন ওই মুক্তিযোদ্ধা মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুসুল্লিচালা এলাকায় (লিচু বাগান) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে ভর্তির সময় চিকিৎসকরা তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করলে নেগেটিভ আসে।
গত ২০ জুন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। গত ২২ জুন দ্বিতীয় দফা নমুনার ফলাফলে তার কোভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতেই তিনি মারা যান।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, করোনায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হওয়ায় আজ সকাল সাড়ে ৯টায় যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক দলের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
Advertisement
আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/এমকেএইচ