করোনাভাইরাসে এমনিতেই বিপর্যস্ত পুরো ভারত। এর মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি সমস্যায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত অবস্থায় চলে গেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সীমান্তে চীন-পাকিস্তান এবং নেপালের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা দেশটিকে ঠেলে দিয়েছে চরম সঙ্কটের মধ্যে। এর মধ্যেই ভারতীয়দের উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে পঙ্গপাল।
Advertisement
গত মাসেই পশ্চিম ও মধ্য ভারতে পঙ্গপালের উপদ্রব দেখা দেয়। সেখান থেকে উত্তর ভারতেও ঝাঁকে ঝাঁকে পৌঁছে গেল পঙ্গপাল। ভারতের রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামের আকাশ ছেয়ে গেছে পঙ্গপালে। সাবেক ভারতীয় ওপেনার বিরেন্দর শেবাগ শনিবার নিজের বাড়ির ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে ‘পঙ্গপাল আক্রমণে’র একটি ভিডিও শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গুরুগ্রাম ও হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও পঙ্গপালের উপদ্রবে চিন্তিত সেখানকার সাধারণ মানুষ। গুরুগ্রামের সাইবার হাব এলাকায় শুক্রবার বিকেল থেকেই পঙ্গপালের উপদ্রব শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দরজা-জানলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি থালা-বাসন বাজিয়ে পঙ্গপাল তাড়ানোর পরামর্শও দেয়া হয়েছে। তবে রাত পেরিয়ে গেলেও পঙ্গপালের ঝাঁক সেই এলাকা ছেড়ে যায়নি। শনিবার সকালেও পুরো এলাকা পঙ্গপালে ছেয়ে যায়।
করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই গত তিন মাস ধরে গৃহবন্দি ভারতের সাধারণ মানুষ। এবার পঙ্গপালের হাত থকে বাঁচতে গৃহবন্দির মধ্যেই দরজা-জানলা বন্ধ করে থাকতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষদের। গুরুগ্রামে শেবাগের বাড়িতে ছাদে দাঁড়িয়ে দেখা ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল উড়ে যেতে। মোবাইলে সেটা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার। ক্যাপশনে শেবাগ লেখেন, ‘পঙ্গপালের আক্রমণ, বাড়ির ঠিক উপরে #হামলা।’
Advertisement
ইফকো চক, এমজি রোড, ডিএলএফ ফেজ আই-৪, সেকান্দারপুর ভিলেজ, চক্করপুরের মতো গুরুগ্রামের ব্যস্ত এলাকাগুলোতেও দেখা যায় পঙ্গপালের ঝাঁক। ৪১ বছর বয়সি সাবেক এই ক্রিকেটার সম্প্রতি ভারতের পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্যেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবারের প্যাকেট দিতে দেখা যায় শেবাগকে।
Locust Attack pic.twitter.com/qDt4iJIwIq
— Virender Sehwag (@virendersehwag) June 27, 2020আইএইচএস/
Advertisement