বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, 'করোনা সংকটকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করার কথা ছিল। এই খাতের সমন্বয়হীনতা পরিকল্পনার অভাব, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির ফলে মানুষের জীবন গভীর সংকটে। এ অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে করানোকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।'
Advertisement
শনিবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে 'স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি বন্ধ করো, কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও ফলাফল দ্রুত প্রাপ্তি নিশ্চিত করো, জেলা-উপজেলা হাসপাতালে সক্ষমতা বৃদ্ধি করো' শীর্ষক মানববন্ধনে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির্র তরফ থেকে আমরা ১৩ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্যখাতকে পুনর্গঠনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী যারা রয়েছেন তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ভাতা, এমনকি সাংবাদিকদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকি ভাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা আমরা বলেছি। এই তের দফার মধ্যে রয়েছে শ্রমিক এবং কৃষক যারা দিন আনা-দিন খাওয়া তাদের কীভাবে বাঁচিয়ে রেখে আমরা সামনে বাড়বো। সুতারাং এটা কেবল একার কাজ নয়, এটা সবার কাজ, এবং সেই কাজ করতে গেলে আমাদের সব রাজনৈতিক শক্তিকে এখানে সংশ্লিষ্ট করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, এই ছয়মাসে আমরা এ কাজে রাজনৈতিক শক্তিকে সংশ্লিষ্ট করার কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করিনি। বরঞ্চ রাজনীতিকে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলা হয়েছে। আমি আহ্বান জানাব, স্বাস্থ্যখাতকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কেবল নয় সামগ্রীকভাবে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিকে এই বর্তমান সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মহানগর সদস্য শাহানা ফেরদৌসী লাকী, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিউলী সিকদার, যুবমৈত্রীর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সানী, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব জুয়েল।
Advertisement
এফএইচএস/জেডএ/এমকেএইচ