নামাজ ফরজ ইবাদত। নামাজে মুমিন মুসলমানের অনেক কাজ রয়েছে। তবে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো পালন করা আবশ্যক। যা ভুলক্রমে পালন করতে না পারলে বা তরক হলে সাহু সেজদা দিতে হয়। অনেকেরই নামাজের আবশ্যক কাজগুলো জানা নেই। অথচ মুমিন মুসলমানের জন্য আবশ্যক এ কাজগুলো জানা থাকা জরুরি। আর তাহলো-
Advertisement
- সুরা ফাতেহা তেলাওয়াত করা।- সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা কুরআনের কোনো অংশ তেলাওয়াত করা।- তারতিব বা নিয়ম অনুযায়ী নামাজ আদায় করা। প্রত্যেকটি রোকন ধারাবাহিকতা রক্ষা আদায় করা। অর্থাৎ আগেরটি পরে আর পরেরটি আগে যেমন- আগে সেজদা এবং পরে রুকু করা। এমনটি না করে যথাযথ নিয়মে নামাজ পড়া।
- তাদিলে আরকান তথা রুকু ও সেজদায় ধীরস্থির থাকা। রুকু, রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো, সেজদা, দুই সেজদার মাঝখানে বসা ইত্যাদি রোকনগুলোতে তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থির থাকা।
- ৩ ও ৪ রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে প্রথম দুই রাকাআতের পর বৈঠকে বসা এবং শুধু তাশাহহুদ পড়া। বাকি ১/২ রাকাআত পড়ে তাশাহহুদ, দরূদ ও অন্যান্য দোয়া পড়া।
Advertisement
- নামাজের প্রত্যেক বৈঠকেই তাশহহুদপড়া। এমনকি সাহু সেজদা দিয়ে বসার পরও তাশাহহুদ পড়তে হবে।
- বিতরের নামাজে দোয়া কুনুত পড়া।
- ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ৬/১১ তাকিবির বলা।
- ফজর, মাগরিব ও ইশার নামাজে প্রথম দুই রাকাআতে কেরাত (সুরা ফাতেহা ও অন্য সুরা বা কুরআনের অংশ) উচ্চ আওয়াজে পড়া।
Advertisement
- জোহর ও আসর নামাজের কেরাত চুপে চুপে পড়া। যাতে আওয়াজ প্রকাশ না হয়।
- নামাজের উল্লেখিত কোনো একটি রোকন ভুলক্রমে ছুটে গেলে বা তরক হলে সাহু সেজদা করাও আবশ্যক।সাহু সেজদা হলো- শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার পর ডানদিকে সালাম ফিরিয়ে আবার পরিপূর্ণ দুই সেজদা আদায় করে আবার তাশহহুদ ও দরূদ-দোয়ার মাধ্যমে নামাজ শেষ করা।
- সালামের মাধ্যমে নামাজ থেকে বের হওয়া।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত যথাযথভাবে নামাজে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা। নামাজের রোকনগুলো যথাযথভাবে আদায় করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের আবশ্যক বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম