স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে এককভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আরমান হোসেন নামে এক ব্যক্তি। শনিবার (২৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিনা চিকিৎসায় নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আরমান বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান অব্যাহত রাখবেন তিনি।
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালে পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পদত্যাগের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে একক অবস্থান নিয়েছিলেন আরমান হোসেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ ও বিচারের বিষয়ে আরমান হোসেন বলেন, ‘করোনাকালে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় দুর্নীতি, অদক্ষতা ও ব্যর্থতার প্রভাব দেশের সমস্ত নাগরিকের ওপরে পড়েছে। করোনা সংক্রমণের শুরুতে নিরাপত্তা সামগ্রী হিসেবে নকল মাস্ক ও পিপিই দিয়ে ডাক্তার ও নার্সসহ সমস্ত স্বাস্থ্যসেবীদের মনোবল ভেঙে দেয়া হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত ও মারা গেছে। ফলে করোনা রোগী তো দূরের কথা, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাও বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অজস্র মানুষকে চিকিৎসা না দিয়ে খুন করে তথাকথিত ভিআইপিদের চিকিৎসায় অসাংবিধানিকভাবে বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমান বাজেটে আপাদমস্তক দুর্নীতিপ্রবণ, ব্যর্থ ও ভঙ্গুর এই স্বাস্থ্যখাত গড়ে তোলার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন না করে সামান্য কিছু টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ কমিশনের কারণে নিজ দেশের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিট অনুমোদন না দিয়ে চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানহীন ভুয়া কিট আমদানি করা হয়েছে। যেগুলো দিয়ে করোনা পরীক্ষার ফলাফল একেক পিসিআর মেশিনে একেক রকম ধরা পড়ছে। এরপর এখন আবার পর্যাপ্ত কিট না থাকার কারণে নানান রকমের মিথ্যা অজুহাত দিয়ে ময়মনসিংহসহ দেশের নানান স্থানে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বন্ধ করে মানুষকে অসহায় ও আতঙ্কগ্রস্ত করে ফেলা হচ্ছে।’
পিডি/এনএফ/জেআইএম