পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক এবার করোনাভাইরাস ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকাকে। তার মতে বোর্ডের চরম অবহেলার কারণে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজসহ করোনাক্রান্ত ১০ ক্রিকেটার এখন অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
Advertisement
গত সোমবার প্রথমবার তিনজন ক্রিকেটারের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার খবর জানায় পিসিবি। পরদিন অন্যান্য পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর জানা যায়, আরও সাত ক্রিকেটার আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে। এর আগে সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদিও করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বর্তমান দলের দশ ক্রিকেটার হলেন ফাখর জামান, ইমরান খান, কাশিফ ভাট্টি, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ওয়াহাব রিয়াজ, শাদাব খান, হারিস রউফ এবং হায়দার আলি। এদের সঙ্গে দলের ম্যাসিয়ার মালান আলিও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
ইনজামামের অভিযোগ, এসব ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে এবং পরেও বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করতে পারেনি। তারা স্বাস্থ্যগত বিষয় জানানোর জন্য বোর্ডের মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা করতে পারেননি।
Advertisement
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় ইনজামাম বলেন, ‘যেসব খেলোয়াড় এখন করোনা পজিটিভ এসেছে, তারা হয়তো ভাবতেই পারে যে এই কঠিন সময়ে ক্রিকেট বোর্ড তাদের পাশে নেই। আমার সুত্র আমাকে জানিয়েছেন, পিসিবির মেডিকেল স্টাফরা গত কয়েকদিন ধরে এসব খেলোয়াড়দের ফোন রিসিভ করছে না। এটা সত্যিই খুব বাজে ব্যবহার।’
এসময় বোর্ডের কাছে এসব খেলোয়াড়দের যথাযথ যত্ন নেয়ার অনুরোধ করেন ইনজামাম। কেননা এখন কোনধরনের ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ অধিনায়ক। খেলোয়াড়দের করোনাক্রান্ত হওয়ার ইস্যুতে বোর্ডের অবস্থান খুব একটা ভালো লাগেনি তার।
ইনজামাম বলেছেন, ‘আমি পিসিবিকে অনুরোধ করব এসব খেলোয়াড়দের ভালোভাবে যত্ন নিন। না হয় মোহাম্মদ হাফিজের মতো অনেকেই নিজ থেকে আবার টেস্ট করাতে যাবে। পিসিবির উচিৎ ছিল এসব খেলোয়াড়দের নিজেদের পর্যবেক্ষণে রাখা। তাদের নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেট না করে বোর্ডের ক্রিকেট একাডেমিতে রাখা যেত। তারা আমাদেরই খেলোয়াড়, তাদের দেখভালের দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।’
এদিকে ১০ খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর। আগামীকাল অর্থাৎ ২৮ জুন তিন টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে ইংল্যান্ড যাবে পাকিস্তান। সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে আগামী ১৩ জুলাই থেকে শুরু হবে তাদের অনুশীলন।
Advertisement
এসএএস/এমকেএইচ