লম্বা চুল, আকাশের মধ্যে ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছে পরীর মত একটি মেয়ে। এ গাছ থেকে অন্য গাছে উড়ে বেড়াচ্ছে। তার কাছে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু হঠাৎ পায়ের দিকে চোখ যেতেই আঁতকে উঠতে হয়। পা দুটো উল্টো!
Advertisement
পরীর মতো মেয়েটি কি তবে ডাইনি? টিজার প্রকাশের পর নেটফ্লিক্সের ছবি 'বুলবুল' নিয়ে এমন আলোচনাই ছিল। অবশেষে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২৪ জুন। তারপর থেকেই মিলেছে সব উত্তর৷ ছবিটি ভাসছে প্রশংসায়।
এ ছবি দিয়ে অন্বিতা দত্তের অভিষেক হলো পরিচালক হিসেবে। ছবির গল্পকে আধিভৌতিক বুননে পর্দায় তুলে ধরেছেন নির্মাতা।
গল্পে বাপের বাড়িতে যে বুলবুল ছিল এক স্বাধীন মনের শিশু, গাছে চড়ে, আম কুড়িয়ে দিন কাটত যার, শ্বশুরবাড়িতে তাকে হয়ে উঠতে হয় বয়সে তিনগুণ বড় স্বামী ইন্দ্রনীলের বাধ্য স্ত্রী। রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িতে যমজ ভাই মহেন্দ্র, তার স্ত্রী বিনোদিনী ও ছোট ভাই সত্যকে নিয়ে ইন্দ্রনীলের সংসার।
Advertisement
ছবিতে ইন্দ্রনীল ও মহেন্দ্র- দুটি চরিত্রেই অভিনয় করেছেন রাহুল বসু। আর বিনোদিনী চরিত্রে প্রশংসনীয় অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী পাওলি দাম৷
১৮৮১ সালের বাংলাকে প্রেক্ষাপটে বাল্যবিবাহ, জমিদার প্রথা ও রাজবাড়ির অন্দরমহলের গল্পকে সামনে নিয়ে আসলেন ছবির পরিচালক অন্বিতা দত্ত। সহজ কথায় ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজের গল্প। সেই সমাজে যে গল্প তৈরি হতো জমিদার বাড়ির অন্দরে ও সেখানেই শেষ হয়ে যেত। পুরনো বাড়ির দেয়ালে ছাপ পড়ে থাকত বহু আতর্নাদ ও অত্যাচারের। পরিচালক সেই সব বিষয়কেই এক সুতোয় বাঁধলেন।
সেই সুতোর ওঠা-নামার দায়িত্ব দিলেন ‘ডাইনি’র হাতে। যে ডাইনি রাত হলেই মানুষের ঘাড়ে কামড় দিয়ে রক্ত চুষে নেয়। পড়ে থাকে ‘অত্যাচারী’র নিথর দেহ। অর্থাৎ পড়ে থাকে রক্তহীন পুরুষতান্ত্রিক এক সমাজ।
এলএ/এমএস
Advertisement