মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে নতুন কোনো অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করতে চাইলে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেবে দেশের প্রকৌশলীদের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
Advertisement
যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এই মহামারি করোনাভাইরাসের সময় অস্থায়ী হাসপাতালের জন্য আইইবি’র কাছে কারিগরি সহায়তা চায় তাহলে আইইবি সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তারা।
শুক্রবার (২৬ জুন) বিকেলে আইইবি এবং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইঞ্জিনিয়ার্স, অস্ট্রেলিয়া (আইসিইএ) যৌথ আয়োজিত টেলিকনফারেন্স ওয়েবিনারে কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার শীর্ষক আলোচনায় আইইবি’র নেতারা এই আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ।
Advertisement
অনুষ্ঠানে আইসিইএ’র সভাপতি প্রকৌশলী নুসরাত ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিইএ’র প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সুফি, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি ড. নরোত্তম দাস এবং আইইবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের সেক্রেটারি প্রকৌশলী রনক আহসান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে পৃথিবী অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছিল। প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্ব এখন স্থবিরতা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এই মহামারি করোনাভাইরাস কখন পৃথিবী থেকে একবারে নির্মূল হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করা যাচ্ছে তাড়াতাড়ি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যাবে।
বক্তারা আরও বলেন, এই মহামারি পৃথিবী থেকে পুরোপুরি বিদায় নিলে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আসবে। তখন কীভাবে দ্রুত অর্থনীতির চাকা সচল করা যায় সেই পরিকল্পনা এখন থেকেই করতে হবে। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে যেন বাংলাদেশের অর্থনীতিও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যায় সেই লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করবে আইইবি এবং আইসিইএ। এছাড়া দেশে সব উন্নয়ন প্রকল্পের সব টেকনিক্যাল সেক্টরে প্রকৌশলীদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
এফএইচ/এমএফ/জেআইএম
Advertisement