এশিয়ার শ্রেষ্ঠ গভর্নরকে পেয়ে উজ্জীবিত সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান ওই এলাকায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। এ সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে গভর্নরকে স্বাগত জানান তারা। মুখে মুখে স্লোগান ভেসে আসে ‘আর নয় ছিটবাসী, আমরা এখন বাংলাদেশি’।রোববার সকালে দেবীগঞ্জে সদ্যবিলুপ্ত ১নং দহলা খাগড়াবাড়ি এনবিএল হাজি লুৎফর রহমান উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এ কার্যক্রমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৪০টি স্টল বসানো হয়েছে। সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলে জীবনমান উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে ৩৮টি ব্যাংকের অংশগ্রহণে আড়াই কোটি টাকার সিএসআর কার্যক্রম এবং বিভিন্ন ঋণ বিতরণের চলমান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গভর্নর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল কমিটির সভাপতি মইনুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান, এসএম রবিউল হাসান, প্রটোকল উপ-বিভাগের অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের মানচিত্রে যুক্ত হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় দাসিয়ারছড়ার একশ’ ৪৩ একর জমি এবং সাত হাজার ৬৯ জন ছিটবাসী, ভুরুঙ্গামারীর ১০টি ছিটমহলের একশ’ ১৩ জন মানুষ যুক্ত হবে। জেলা সদরের ডাকুয়ারকুটি ছিটমহলের জনবসতি না থাকলেও ১৩ দশমিক ৪৮ একর জমি জেলার মানচিত্রে যুক্ত হবে।বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলে যৌথ জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার চারশ’ ৪৯ জন। এখান থেকে ভারতের মূল ভুখণ্ডে যেতে নিবন্ধিত হয়েছেন নয়শ’ ৭৯ জন ছিটবাসী। তাদের মধ্যে কুড়িগ্রামের ১০টি ছিটমহলের তিনশ’ ১৭ জন আছেন। শুধু দাসিয়ারছড়ার আছেন দুইশ’ ৮৪ জন। কুড়িগ্রামে ১০টি ছিটমহল থেকে একশ’ ৫৮ জন হিন্দু এবং একশ’ ৫৯ জন মুসলিম পরিবারের সদস্য ভারতে যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে।এসআই/জেডএইচ/এসএইচএস/পিআর
Advertisement