জাপানের শিকোকু দ্বীপে রয়েছে নাগোরো গ্রাম। অনেক আগে এখানে অনেক মানুষে বসবাস থাকলেও নাটকীয়ভাবে কমে গেছে জনসংখ্যা।
Advertisement
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কর্মসংস্থানের সন্ধানে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। এখন যারা রয়েছেন তাদের অধিকাংশই বৃদ্ধ।
আয়ানো সুকিমি নামের এক মহিলা যখন গ্রামের ফিরে আসেন তখন গ্রামের জনশূন্য দেখে তিনি কষ্ট পান। সে দিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন গ্রাম থেকে যারা চলে গেছে সেই সব জায়গার জন্য তিনি একটি করে পুতুল তৈরি করবেন। এই রকমই পুতুল তৈরি করে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিয়েছেন।
এখন সেই গ্রামে মানুষের বদলে জায়গা নিয়েছে পুতুলরা। সুকিমির এই কাজের ধারণা হঠাৎ-ই এসেছে। বারো বছর আগে তিনি পাখিদের ভয় দেখানোর জন্য পুতুল তৈরি করতেন। এখন তিনি গ্রামের জনশূন্যতার অভাব মেটানোর জন্য পুতুল তৈরি করেন।
Advertisement
এখন পর্যন্ত তিনি ৩৫০টিরও বেশি কাকতাড়ুয়া তৈরি করেছেন। কাকতাড়ুয়া বানানোর জন্য তিনি লাঠি, কাগজ ও কাপড়ের ব্যবহার করেন। তাদের দেখাশোনা করার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। এখন অনেক পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। তাই তো পুতুলগুলোকে সুন্দর কাপড় পড়িয়ে রাখার প্রয়োজন পড়ে।
৬৫ বছরের আয়ানো সুকিমি গ্রামের সর্বকনিষ্ঠ নারী। ২০১২ সালেই বন্ধ হয়ে গেছে গ্রামের স্কুল।
সিএনএন/এএ
Advertisement