টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আগমী মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আাদলতে ওই আপিলের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।এর আগে গত ২১ অক্টোবর তার মনোনয়ন পত্র গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মনোয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশন ও রিটানিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত স্থগিত ঘোষণা করেছেন আদালত।সেই সঙ্গে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন কেন বৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারকে বিবাদী করা হয়।এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২১ অক্টোবর বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে এই আদেশ দেন।মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম এবং কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরি।তার আগে ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রিট আবেদনে বলা হয়, ঋণখেলাপির অভিযোগে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা অবৈধ। কেননা, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনঃতফসিল করায় কাদের সিদ্দিকী ঋণখেলাপির অন্তর্ভুক্ত হননি।এর আগে ১৩ অক্টোবর ঋণখেলাপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশন এ আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে তাঁদের। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।আগামী ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইলের-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এফএইচ/আরএস/এসএইচএস/পিআর
Advertisement