করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মহামারির বিরুদ্ধে তিনি (জেলা জজ ফেরদৌস আহমেদ) একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন।
এর আগে বুধবার (২৪ জুন) রাত ৮টায় লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন।
Advertisement
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন জেলা জজ ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমাও দেয়া হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জামালপুরে শহরে তার জানাজা শেষে এবং সেখানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বিচারক ফেরদৌস আহমেদ ১৯৮৪ সালে বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে যোগদান করেন।
তার মৃত্যুতে প্রধান বিচরপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ছাড়াও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
এর আগে গত ২৩ জুন সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, অধস্তন আদালতের ২৬ জন বিচারক, সুপ্রিম কোর্টের ২৬ কর্মচারী ও অধস্তন আদালতের ৭১ জন কর্মচারী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সর্বপ্রথম গত ২২ মে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ শাহাজাহান কবির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং এরপরে মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমান আক্রান্ত হন। বর্তমানে তারা দু’জন সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। এদিকে করোনা আক্রান্ত ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম মাহমুদুল হকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রোববার তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে ইউনিভার্সেল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এফএইচ/এমএফ/পিআর