বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২১১ জন কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ১১৩ জনের ইতোমধ্যে করোনা নেগেটিভ এসেছে, তারা সুস্থ হয়েছেন। এখনও কোভিড-১৯ পজিটিভ আছেন ৯৮ জন।
Advertisement
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংক্রমিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০৯ জনই বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। আক্রান্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন সচিবও রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০৪ জন মাঠ প্রশাসনে কর্মরত রয়েছেন।
সংক্রমিত ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্য কর্মকর্তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনায় মারা গেছেন বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে ১১ জন কর্মকর্তা।
Advertisement
আক্রান্তরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ছাড়াও জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের যে কর্মপরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মানুষকে ঘরে রাখতে তাদেরকে উদ্যোগ নেয়া ছাড়াও আক্রান্তদের চিকিৎসা তদারকি এমনকি মৃতদের সৎকারের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনে কর্মরতদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার বিগত কিছুদিনে অনেকটাই বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এক মাস আগেও প্রশাসনে আক্রান্ত কর্মকর্তাদের সংখ্যা ১০০ জনের নিচে ছিল।
আক্রান্ত সচিবদের মধ্যে রয়েছেন -তথ্য সচিব কামরুন নাহার, প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।
Advertisement
তথ্য সচিব বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিরক্ষা সচিব সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর সুস্থ হয়েছেন।
গতকাল বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক হাজার ৫৮২ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪৬২ জন। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জনে।
আরএমএম/এমএফ/পিআর