আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন আক্রান্ত রোগীদের সেবা দানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, ফ্রন্ট লাইনে কর্মরত যোদ্ধারা যখন জীবন বাজি রেখে কাজ করছে, তখন কিছু হাসপাতাল, ক্লিনিক যেকোনো সাধারণ সেবায় গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করাচ্ছে কিংবা করোনার রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ঢালাওভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণ রোগীদের ওপর চাপানো কতটা যৌক্তিক?
Advertisement
তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, কিছু হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করার নানান ছল চাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে, এ মূহুর্তে এটি মোটেও সমীচীন নয়।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৬৮টি জেলায় করোনা টেস্ট করা হচ্ছে, সরকার পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় টেস্টের সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
Advertisement
করোনার সংক্রমণ রোধ ও মানুষকে বাঁচানোই হচ্ছে এখন একমাত্র রাজনীতি- উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে নেতিবাচক ও অন্ধ সমালোচনা-নির্ভর রাজনীতির জন্য বিএনপিরই পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বক্তৃতা বিবৃতির মাধমে সরকারের সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির এখন আর কোনো রাজনীতি নেই, অসহায় মানুষ থেকে তাদের অবস্থান এখন যোজন যোজন দূরে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যারা সমন্বয়ের কথা বলেন তাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন পৃথিবীর কোথাও কি এমন নজির আছে?
মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাজনীতিবীদের কাজ নয়, যাদের দরকার, সে সব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তাদের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনার কারণে এপ্রিলের বিদ্যুৎতের বাড়তি বিলের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মে মাসের বিলের সাথে বাড়তি বিল সমন্বয় করা হবে।
Advertisement
এইউএ/এনএফ/পিআর