করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. ফেরদৌস আহমেদ (৫৫)।
Advertisement
বুধবার (২৪ জুন) রাত ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দরের আইন কর্মকর্তা মুনতাসির আহমেদ।
মুনতাসির আহমেদ বলেন, আমার সঙ্গে জজ ফেরদৌস আহমেদের জামাতা লে. কর্নেল সাজ্জাদের কথা হয়েছে। লে. কর্নেল সাজ্জাদ তার শ্বশুরের মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।
এদিকে, বিচারক ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, জজ ফেরদৌস আহমেদ মারা গেছেন।করোনাভাইরাসে প্রথম কোনো বিচারকের মৃত্যু হলো।
Advertisement
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন জজ ফেরদৌস আহমেদ। ১৫ জুন তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদের জামাতা লে. কর্নেল সাজ্জাদ।
লে. কর্নেল সাজ্জাদ ওই দিন বলেন, আমার শ্বশুর লালমনিরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফেরদৌস আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আমরা তার জন্য ‘এবি পজিটিভ’ রক্তের প্লাজমা খুঁজছি। আপনাদের সন্ধানে থাকলে প্লিজ দ্রুত জানান। এরই মধ্যে বুধবার তার মৃত্যু হলো।
লালমনিরহাট আদালত সূত্র জানায়, বিচারক ফেরদৌস আহমেদ ১ জুন ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে আসেন। ৪ জুন আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করে আবার ঢাকায় ফিরে যান। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করান। পরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বিষয়টি জানার পরই তাকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ‘এবি পজিটিভ’ রক্তের প্লাজমা দরকার ছিল তার। প্লাজমা দিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি।
রবিউল/এএম/এমএস
Advertisement