এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তথ্য সচিব কামরুন নাহার। সচিবের একান্ত সচিব মোহাম্মদ এনামুল আহসান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এনামুল আহসান বলেন, ’সচিব মহোদয়ের তেমন কোনো উপসর্গ নেই। তবে করোনা টেস্ট করলে আজ বুধবার তার রেজাল্ট পজেটিভ এসেছে। এখন তিনি বাসায় আইসোলেশনে আছেন।’
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর তথ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান কামরুন নাহার। এর আগে তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়নি তখনকার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) কামরুন নাহারকে রাষ্ট্রপতির কোটায় সচিব নিয়োগ দেয় সরকার। তখন তাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়। অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) শুরুর আগে তিনি তার ক্যাডারের নিজ পদে ফিরবেন বলেও তখন আদেশে উল্লেখ করা হয়।
Advertisement
কামরুন নাহার ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর অবসরে যাবেন। তিনি বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। কামরুন নাহার এর আগে তথ্য অধিদফতরের প্রধান ছাড়াও গণযোগাযোগ অধিদফতর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে গত ১৭ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বর্তমানে বাণিজ্যমন্ত্রী এভারকেয়ার হাসপাতালে (আগের অ্যাপোলো হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।
টিপু মুনশি ছাড়াও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে গত ৬ জুন। এরপর ১২ জুন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু এবং মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) হাবিবুর রহমানের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে।
গত ১৪ জুন রাতে বেইলি রোডের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহকে ঢাকা সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে রাতেই তার মৃত্যু হয়। পরে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়।
Advertisement
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তারা দুজনই করোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এমইউএইচ/জেডএ/জেআইএম/এমকেএইচ