জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা সমুন্নত রাখতে, মানবাধিকার রক্ষা করতে এবং উন্নয়ন জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিয়ে সারাবিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা সমুন্নত রাখতে, মানবাধিকার রক্ষা করতে এবং উন্নয়ন জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, জাতিসংঘ সনদ ও বাংলাদেশের সংবিধানে সন্নিবেশিত রয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার মূল নীতি অনুযায়ী শান্তি, ন্যায়, উন্নয়ন ও সহযোগিতার পথ অনুসরণ করার লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাবে।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস নীতি সমুন্নত রাখাসহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের শাসন এবং অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে তার প্রতিশ্রুতি এবং সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, আমাদের এখন মারাত্মক সংঘাত ও অন্যান্য অশুভ তৎপরতার অবসান ঘটানোর ব্যাপারে ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সামর্থকে কাজে লাগানো প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখনো যুদ্ধ, সংঘাত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত এই বিশ্বে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি বরাবরের মতোই প্রাসঙ্গিক। সার্বজনীন, উচ্চাকাঙ্খী, গণমুখী এবং এই গ্রহ কেন্দ্রিক টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত এজেন্ডা-২০৩০ গৃহীত হওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত আমাদের একমাত্র ও সকলের এই বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূলের লক্ষ্যে আমাদের সম্মিলিত সামর্থের ওপর নতুন করে আমাদের বিশ্বাস জোরদার করেছে।বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, এমডিজি অর্জন, জলবায়ু ও দুর্যোগ প্রভাব মোকাবেলা, নারীর ক্ষমতায়ন জোরদার, অভিবাসীদের অধিকার, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ, তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটি সার্ভিসের সুবিধা লাভ সম্প্রসারণ এবং উদ্ভাবনী উন্নয়ন সমাধান সহ বাংলাদেশের অন্যন্য সাফল্য উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি ‘রোল মডেল’ হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে জাতিসংঘ কর্তৃক যথাযথ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।বিএ

Advertisement