ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় চলাফেরা করার সময় প্রেসিডেন্ট জেইর বোলাসোনারোকেও মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। নাহলে অন্য সবার মতো প্রেসিডেন্টকেও জরিমানার মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন এর এক বিচারক।
Advertisement
বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত ব্রাজিলে। গত কয়েকমাস ধরেই সেখানে সংক্রমণ বাড়লেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চান না জেইর বোলসোনারো। অনেকটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো তিনিও করোনাকে সাধারণ ফ্লু বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন। মাস্ক পরাতেও তার চরম অনীহা।
ব্রাজিলে ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেই বোলসোনারোকে প্রায়ই বাইরে সভা-সমাবেশ বা ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময় তাকে মাস্কবিহীন বা পরলেও সেটি ঠিকভাবে না থাকতে দেখা দেছে। এ নিয়ে দেশটির ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন বোলসোনারো। গত সোমবার দেশটির এক ফেডারেল বিচারক রুল জারি করেছেন, প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো যদি এখন থেকে মাস্ক ছাড়া বের হন তবে তাকেও অন্যদের মতো দুই হাজার ব্রাজিলিয়ান রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। গত এপ্রিল থেকেই ব্রাসিলিয়ায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রেনাতো কোয়েলহো বোরেলি নামের ওই বিচারক বলেন, প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে- সেটি নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হোক বা আশপাশের লোকদের।
Advertisement
তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট যেমন দেশের আইন মানতে বাধ্য, তেমনি জনকল্যাণের প্রচার করতেও বাধ্য। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এমনকি নির্বাহীদের প্রধানও নয়। ব্রাজিলে এ পর্যন্ত ১১ লাখ ৫১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও শুরু থেকেই লকডাউনের মতো কড়া পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তার দাবি, লকডাউন দিলে যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা স্বাস্থ্যগত ক্ষতির চেয়েও ভয়াবহ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানকেএএ/