নর্থ মেসিডোনিয়ায় গ্রিস সীমান্তবর্তী একটি হাইওয়ে থেকে ৬৪ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
Advertisement
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার নিয়মিত টহলের সময় একটি ট্রাক থেকে ৬৪ অভিবাসীকে আটক করা হয়। তবে ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে গেছে। আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশি বলে জানানো হয়েছে।
নর্থ মেসিডোনিয়া পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আটক অভিবাসীদের সীমান্তের কাছে গেভেগেলিজা নামে একটি শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাদের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
যুগোস্লাভিয়ার ভেতর দিয়ে তথাকথিত ‘বলকান অভিবাসন রুট’ ২০১৫ সাল থেকে বন্ধ। আর চলতি বছর করোনা মহামারির কারণে বন্ধ রয়েছে গ্রিস-নর্থ মেসিডোনিয়া সীমান্তও। তবে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কাগজে-কলমে সীমান্ত বন্ধ হলেও এ রুটে মানবপাচার এখনও চলছে।
Advertisement
প্রতিবছরই বহু মানুষ উন্নত জীবনের আশায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই অবৈধ পথে পাড়ি জমাচ্ছেন ইউরোপীয় দেশগুলোতে। মাত্র মাসখানেক আগেই অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার পথে লিবিয়ায় পাচারকারীদের হাতে প্রাণ হারান ২৬ বাংলাদেশি।
ভয়ঙ্কর সেই ঘটনার বর্ণনায় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেনগাজি থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কাজের সন্ধানে ত্রিপলি শহরে আসার পথে তিনিসহ প্রায় অর্ধশত অভিবাসী মিজদা শহরে মুক্তিপণের জন্য দুষ্কৃতিকারীদের হাতে জিম্মি হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বাংলাদেশি, বাকিরা আফ্রিকান। জিম্মি অবস্থায় তাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন করার পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়।
এ নিয়ে ঝামেলা হলে আফ্রিকানের মধ্যে একজন ওই পাচারকারীদের নেতাকে মেরে ফেলে। তার প্রতিশোধ নিতে নিহত পাচারকারীর পরিবার এবং বাকি পাচারকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে এক রুমের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০ জন মারা যায়, যাদের ২৬ জনই বাংলাদেশি। বাকি চারজন আফ্রিকান। এছাড়া, আরও ১১ জন বাংলাদেশি আহত হন। এ ঘটনার পর বিশ্বে আবারও আলোচনায় উঠে আসে অবৈধ অভিবাসন সমস্যাটি।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, এপিকেএএ/
Advertisement