চীনে কুকুরের মাংস খাওয়ার প্রচলন বহুদিনের। শুধু নিত্য খাদ্যাভাসই নয়, এ নিয়ে প্রতিবছর মেলাও বসে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউলিন শহরে। এবছর করোনা মহামারি সত্ত্বেও সম্প্রতি সেই মেলা শুরু হয়েছে আবারও, চলবে টানা দশ দিন।
Advertisement
চীনের এ উৎসবে প্রতি বছরই যোগ দেন হাজার হাজার মানুষ। নানা পদের খাবারের পাশাপাশি সেখানে বিক্রি হয় খাঁচায় বন্দি জীবন্ত কুকুরও। বাদ পড়ে না কয়েকদিন বয়সী ছোট ছোট কুকুরছানাও।
গত বছরের শেষভাগে চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। সেখানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের পেছনে বাদুড় খাওয়ার অভ্যাসকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে করোনা মহামারির মধ্যে চীনে বাদুড়, সাপ, প্যাঙ্গোলিন, গিরগিটি ইত্যাদি খাওয়া অনেকটাই কমেছে। গত এপ্রিলে শেনজেন শহরে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধও হয়েছে। তবে এসবেও আটকায়নি ইউলিন শহরের মেলা। এবারও খাঁচায় বন্দি কুকুর বিক্রির উৎসব শুরু হয়েছে সেখানে।
পশুপ্রেমীদের বিশ্বাস, এই বছরের পরেই হয়তো বন্ধ হবে চীনে কুকুর খাওয়ার এই উৎসব। চীনা প্রশাসন বন্যপ্রাণী খাওয়া রোধে আইন করছে বলে জানা গেছে। পোষ্য প্রাণীদের রক্ষায়ও নতুন আইন আসতে পারে। ফলে এরপরে হয়তো কুকুরের প্রতি এমন নির্মমতার মেলা বন্ধ সম্ভব হবে।
Advertisement
চীনে পশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের মুখপাত্র পিটার লি বলেন, শুধু প্রাণীদের কথা চিন্তা করেই নয়, মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবেও ইউলিন শহরের এই উৎসব বন্ধ করা উচিত। কারণ, কুকুর ও কুকুর মাংস কেনার জন্য স্থানীয় বাজার-রেস্তোঁরাগুলোতে যেভাবে ভিড় হচ্ছে তা বর্তমান পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফলে এটি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য ওয়ালকেএএ/