পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ছারছিনা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সরকারি চিকিৎসকের সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী না দেখে টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন সরকারি চিকিৎসক সৌমেন দে।
Advertisement
স্থানীয় রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (২২ জুন) উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ফিরোজ কিবরিয়া অভিযুক্ত চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডিউটি চলাকালীন কেন বাইরে রোগী দেখা অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে ওই চিকিৎসককে তিনদিনের মধ্য জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসক সৌমেন দে নেছারাবাদ উপজেলার ছারছিনা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক। তিনি প্রায়ই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না বসে স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাইভেট চিকিৎসা দিয়ে সময় পার করেন। এ নিয়ে উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চিকিৎসক সৌমেন দে বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে দুই ভাগে ভাগ হয়ে অর্থ্যাৎ শিফট করে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী মাসের এক তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডিউটি করি। বাকি ১৫ দিন ছুটি কাটানোর সময় আমার। তাই ছুটিকালীন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করি। সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় কখনও প্রাইভেট প্র্যাকটিস করি না।
Advertisement
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, অফিস সময়ে ওই চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেলায় কিছুই বলা হয়নি। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক তিনি। তার দায়িত্ব ভাগ করে ডিউটি করার প্রশ্নই আসে না।
এএম/এমকেএইচ