স্বাস্থ্য

করোনা সংকটে চট্টগ্রামের পাশে এ জনপদের সন্তানেরা

দেশে গত মার্চে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরুর পর মে মাসে চট্টগ্রামের পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হতে শুরু করে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে প্রতিদিনই। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্লোগান ওঠে— ‘শ্বাস নিতে চায় চট্টগ্রাম’। সেই স্লোগান ছুঁয়ে যায় সাত সাগর আর তেরো নদীর ওপারে থাকা এ মাটির সন্তানদেরও। তাই তো দেশের মানুষকে রক্ষায় অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র থেকেও সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন তারা। চট্টগ্রামের জন্য ‘অক্সিজেন’ জোগান দিতে বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন এ জনপদের সন্তানরা।

Advertisement

সম্প্রতি ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই অব নর্থ আমেরিকা’র সাবেক সভাপতি ডা. বি এম আতিকুজ্জামানের ডাকে সাড়া দিয়ে এক অনলাইন বৈঠকে নিজেদের চলমান কার্যক্রম ও পরিকল্পনার এসব বিষয়ে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও অ্যালামনাইয়ের সদস্যরা। চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে চট্টগ্রামের মানুষের প্রয়োজনীয়তা জানতে ও তাদের পাশে দাঁড়াতে পরামর্শমূলক এ ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

বি এম আতিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান, আমেরিকায় বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জিয়া করিম ও অনলাইন নিউজপোর্টাল জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আবু আজাদ।

বৈঠকে ডা. বি এম আতিকুজ্জামান বলেন, এই মুহূর্তে দেশে করোনার একটি হটস্পট চট্টগ্রাম। সেখানে এ পর্যায়ে সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনের খবরই আমরা চট্টগ্রামের দুরবস্থার বিষয়ে শুনছি। এ অবস্থায় ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই অব নর্থ আমেরিকা’ অতি সম্প্রতি চট্টগ্রামের জন্য অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, এইচএফএনসি, ন্যাজাল ক্যানোলা, পালস অক্সিমিটার পাঠানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথম চালান পৌঁছে যাবে শিগগিরই। আমাদের লক্ষ্য কম করে হলেও একশ কনসেনট্রেটর। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অস্ট্রেলিয়া অ্যালামনাই এগিয়ে এসেছে। এছাড়া আমেরিকা থেকে ডা. শাহিন, ডা. জিয়া করিম, ডা. পারভেজ, ডা. মিশকাত এ লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই অব নর্থ আমেরিকাও তার কাজ শুরু করেছে।

Advertisement

এ সময় চট্টগ্রামের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন অনলাইন নিউজপোর্টাল জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আবু আজাদ। তিনি জানান, গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা শুরুর পর ৩ এপ্রিল প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর পরের ৪০ দিনে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১০৫ জন। কিন্তু পরের ৪৬ দিনে সে সংখ্যা বেড়েছে ছয় হাজারের বেশি। এছাড়া করোনা পরীক্ষা ছাড়াই অনেক রোগী মারা যাচ্ছে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে। নগরে মরদেহ দাফন ও দাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাবে করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর তারা প্রায় ৬০০ মানুষের মরদেহ দাফন বা দাহ করেছেন। অথচ সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবে সেদিন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা মাত্র ১৩০!

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান বলেন, আমি সম্মানিত বোধ করছি আমাকে এখানে ডাকার জন্য। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন অ্যালামনাই ও আমাদের সোনার সন্তানরা। তাদের মন আমাদের জন্য কাঁদে। তারা আমাদের জন্য চিন্তা করেন। বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে আমরা এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি। তাদের এই ভালোবাসা বুকে ধারণ করে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি সুচারুভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।

করোনায় চমেক হাসপাতালের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সুদক্ষ পরিচালক রয়েছেন। তার অধীনে চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে আমাদের ৪৪টি ডিসিপ্লিনে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিলাম। যখন করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করলো তখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিট তৈরি না করে আর থাকতে পারিনি। আপনারা জানেন যে, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু করে, ফেনী, কুমিল্লা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার রোগী, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার কোটি মানুষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নিয়ে থাকেন। তাদের সুরক্ষার জন্য চমেকে আমরা প্রথমে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া নিয়ে সতর্ক ছিলাম। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট করা হয়। পরে আরও একটি ওয়ার্ড নিয়ে ১৫০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে প্রায় ২০০ রোগী থাকে ফ্লোরিংসহ। আরও একটি ওয়ার্ড করোনা রোগীদের দেয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

অধ্যক্ষ শামীম হাসান বলেন, আমরা পর্যালোচনা করে দেখতে পাই, এর ব্যবস্থাপনার জন্য যা যা লাগে, প্রথমে রোগ শনাক্তকরণ, পরে তার সাপোর্ট। সাপোর্টে আমরা সিমটমেটিক ট্রিটমেন্টগুলো দিয়ে থাকি। সাথে তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। আমাদের পোর্টেবল এক্সরে আছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি আলাদা অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে। সে প্ল্যান্টের মাধ্যমে আমরা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেছি।

Advertisement

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরুর পর আমরা যখন প্র্যাকটিক্যালি মাঠে নামলাম তখন দেখলাম এ সমস্ত রোগীর অক্সিজেন সার্কুলেশন কমে যায়। অক্সিজেন গ্রহণ করার এক ধরনের প্রক্রিয়া, সেখানে ফুসফুসে এক ধরনের সমস্যা হয়। সে কারণে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে অনেক বেশি পরিমাণ অক্সিজেন (প্রতি মিনিটে ৩০ থেকে ৬০ লিটার) দিতে হয়।’

হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা বাঁচাতে পারে হাজার জীবনশামীম হাসান বলেন, ঈদের দিন রুমী নামে একজন ডাক্তার মারা যান। তিনি মা ও শিশু হাসপাতালে কাজ করতেন। সেখানে তার একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ছিল। ওই ক্যানোলাসহ তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ডা. রুমী মারা যাওয়ার পর অর্থোপেডিক্সের একজন ডা. সহযোগী অধ্যাপক ছমিরুল তখন অসুস্থ, একদম খুব খারাপ অবস্থায় পড়েছিল। পরে রুমীর সেই হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তোলা হয়। সে সময় যদি রুমীর হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা না পেতাম তাহলে ডা. ছমিরুলকেও বাঁচানো সম্ভব ছিল না।

তিনি বলেন, তখন আমাদের টনক নড়লো, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা জিনিসটা কী, তখন থেকে এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামালাম। দেখলাম যে আমাদের দেশে তিন থেকে সাত লাখ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা ডাক্তাররাই চিন্তা করলাম প্রতিজনে ২০-৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৭০ লাখ টাকার মত হয়, এটা নিয়ে আমরা কেনার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু সচিব মহোদয় বললেন, তোমরা সরকারের ওপর ডিপেন্ড না করে নিজেরা কিনছো, এটা খারাপ দেখাবে। তাই আমরা এটা বাদ দিলাম। পরে বাজার যাচাই করতে গিয়ে দেখলাম তিন লাখ, পাঁচ লাখ, সাত লাখ টাকার জিনিস ১৫ লাখ টাকা হয়ে গেলো।

চট্টগ্রামের জন্য ‘অক্সিজেন’চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শামীম হাসান বলেন, নিজেরাই হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা কেনার পরিকল্পনা যখন বাতিল হয়ে গেলো, সে সময় অস্ট্রেলিয়া থেকে চমেক ৩৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আমাদের চারটা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা পাঠাবে বলেছিলেন। তাতে আমরা কিছুটা আশ্বস্ত হলাম। এরই মধ্যে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা এগিয়ে এলেন, তারা আমাদের পোর্টেবল ভেন্টিলেটর দেয়ার কথা বললেন। পোর্টেবল ভেন্টিলেটরের দাম প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা। আমরা এটি নিয়ে স্টাডি করলাম, এটি দিয়ে অক্সিজেন ফ্লো দেয়া যায়। এখন আমরা ১০টি পোর্টেবল ভেন্টিলেটর পেয়েছি। ঢাকা থেকে চারটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা এসেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আরেকজন ১০টি পাঠাচ্ছেন। সর্বশেষ জিয়া করিম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তিনি আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, আমাদের কী লাগবে? তখন আমরা একটি মিটিং করলাম। মিটিং করে যে সমস্ত যন্ত্রপাতি তার একটি লিস্ট করলাম, সে লিস্ট জিয়া করিমকে পাঠানো হয়েছে। জিয়া করিম স্থানীয় একটি গ্রুপের মাধ্যমে জিনিসগুলো কিনে আমাদের অনুদান হিসেবে দিচ্ছেন। আমি সৌভাগ্যবান যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চমেকের সাবেক ছাত্ররা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। তারা আমাদের সাহায্য করতে চাচ্ছেন, যেন আমরা সুস্থ থাকি। নিজেরা সুস্থ থেকে জনগণের সেবা করতে পারি।

ডা. জিয়া করিম বলেন, আমরা যখন দেখলাম চট্টগ্রামের পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলো, তখন একটি মিটিং করলাম, মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত ছিল আমরা কিছু টাকা তুলবো, টাকা তুলে কীভাবে কোভিড-১৯ সিচুয়েশনে চমেককে সহায়তা করা যায়। তখন একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হলো। আমরা ডা. মিজান, ডা. শামীম ও ডা. কাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করছি। পুরোদমে টাকা তোলা শুরু করি, আমাদের বাজেট ছিলো হান্ড্রেড থাউজেন্ড ডলার। ওই টাকা আমাদের জোগাড় হয়ে গেছে। এখন আমরা আশা করছি এটা আমরা আরও একটু বাড়াতে পারবো। লোকজন সাহায্য করতে চাচ্ছে। মাঠের পর্যালোচনা থেকে আমরা যেটা অনুধাবন করলাম। চট্টগ্রামে এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হলো হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা। পরে আমরা এসব কেনার জন্য বাংলাদেশে যোগাযোগ শুরু করি। ইতোমধ্যেই একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি। চারটা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা কেনার ২৫ শতাংশ টাকা আমরা ভলেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনকে দিই। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এগুলোর ডেলিভারি হবে। এর মধ্যে আরও অনেকে আছে যারা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সহায়তা করতে ইচ্ছুক।

তিনি বলেন, শুধু হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা হলেই হবে না, আমাদের দেখতে হবে যে আইসিইউ সাপোর্ট আছে কি-না? আইসিইউ বেড আছে কি-না? এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, আমরা কি আরও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দেব, নাকি অন্য কিছু। ডা. কাজন আরও কিছু জিনিস চেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, এন৯৫ মাস্ক, পিপিই, পালস অক্সিমিটারসহ আরও কিছু। পরবর্তী ধাপে সেগুলোর ব্যবস্থা আমরা করবো। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতালেও দেয়া যাবে। কিছু ফিল্ড হাসপাতাল হচ্ছে সেখানে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দেয়া না গেলেও রেগুলার অক্সিজেন দিয়ে আমরা সাহায্য করতে পারবো।

আইসিইউ নিয়ে চমেক হাসপাতালের পরিস্থিতি তুলে অধ্যক্ষ শামীম হাসান বলেন, যখন করোনা পরিস্থিতি শুরু হয়নি, তখন আমাদের জেনারেল আইসিইউ ছিলে ১২টি বেডের, পেরিট্রিক আইসিইউ ছিল ১২টি বেডের, কার্ডিয়াক সার্জারিতে আট বেড, কার্ডিয়াক মেডিসিনে ১২ বেড। এখন যখন আমরা করোনা ওয়ার্ড করলাম, সেখানে আমাদের ১০টি আইসিইউ বেডের সংযোজন করা হয়। এসময় সকল সুবিধাসহ ভেন্টিলেটর ছিল চারটি, এর মধ্যে টিকে গ্রুপ থেকে পেয়েছি ১০টি, ইয়ং ওয়ান কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি ২০টি হাইকোয়ালিটি বেড দিয়েছেন, সেগুলো আইসিইউ বেডের মতই।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে ডা. বি এম আতিকুজ্জামান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামকে আরও বড় পরিসরে সহায়তার জন্য তারা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

আবু আজাদ/এইচএ/এমএস