দেশজুড়ে

১২ ঘণ্টায় খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ জুন) রাত ১১টা থেকে মঙ্গলবার (২৩ জুন) বেলা ১১টার পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়।

Advertisement

এরা হলেন- খুলনা মহানগরীর বাবু খান রোডের মৃত সুলতান আলীর ছেলে পান্না ওয়াজেদ (৭০), টুটপাড়ার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মহাসিন খোকন (৫৫), নড়াইল সদর উপজেলার মহেশখোলা গ্রামের মৃত আক্কাস শেখের ছেলে কাশেম শেখ (৩৬) ও নগরীর কুয়েট মোড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী মরিয়ম (৫৬)।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে পান্না ওয়াজেদকে সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এছাড়া তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর ৫টায় তার মৃত্যু হয়।

করোনার উপসর্গ নিয়ে নগরীর টুটপাড়ার সরকারি সুন্দরবন কলেজ এলাকার মহাসিন খোকন সোমবার দুপুর সোয় ১২টায় হাসপাতালে ভর্তি হন। দুদিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়।

Advertisement

এছাড়াও জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কাশেম শেখ সোমবার বিকেল সোয়া ৫টায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌঁনে ২টায় তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে নগরীর কুয়েট মোড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী মরিয়ম চারদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি মারা যান। করোনা পরীক্ষার জন্য মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান ডা. মিজানুর রহমান।

উল্লেখ্য, করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আলমগীর হান্নান/আরএআর/পিআর

Advertisement