দেশজুড়ে

শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আগুন নিয়ন্ত্রণে

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার ব্রিগেডের প্রচেষ্টায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।

Advertisement

করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীদের স্বজনরা জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিচতলার প্যানেল সুইচ বোর্ড দুইবার শর্ট সার্কিট হয়ে ফায়ার (অগ্নি স্ফুলিঙ্গ) হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে করোনা ইউনিটে ভর্তি থাকা রোগীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করে হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নিচে চলে আসেন। ওই সময় করোনা ইউনিটে শতাধিক রোগী ভর্তি ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে কয়েকজন রোগী পায়ে ব্যথা পেয়েছেন।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তার আগেই আগুন নিভে যায়। এ কারণে তাদের অগ্নিনির্বাপণ কাজ করতে হয়নি। গণপূর্তের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানেল সুইচবোর্ড মেরামতের কাজ শুরু করেন। রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ লাইন সচল করা হয়। এর আগেই রোগীদের শয্যায় নেয়া হয়েছে। এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সিনিয়র স্টেশন অফিসার রেজাউল করিম জানান, করোনা ইউনিটে ১১১ জন রোগী ভর্তি ছিল। গড়গড়া ও ভাপ নিতে একসঙ্গে অনেকগুলো বৈদ্যুতিক কেটলিতে পানি গরম করা হচ্ছিল। এ কারণে চাপ বেশি পড়ায় প্যানেল বোর্ডে ফায়ার হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার বন্ধ হয়েও যায়। পরে প্যানেল সুইচ বোর্ড মেরামত করে গণপূর্তের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা।

Advertisement

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এসএম বাকির হোসেন জানান, প্যানেল সুইচ বোর্ডে ফায়ার হতে দেখে আতঙ্কে রোগী ও তাদের স্বজনরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। এটাকে অগ্নিকাণ্ড বলা ঠিক হবে না। রোগী ও তাদের স্বজনরা নিরাপদে আছেন। প্যানেল বোর্ডের ফিউজ পুড়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এমআরএম