দেশজুড়ে

ফজলুকে ফিরিয়ে আনতে স্বজনরা সিলেটে

কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি না হয়েও ২২ বছর সিলেট কারাগারে বন্দিজীবন কাটিয়ে সদ্য জামিনে বের হয়ে আসা ফজলু মিয়াকে ফিরিয়ে আনতে সিলেটে গেছেন তার স্বজনরা। জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খানের সহযোগিতায় শনিবার সকালে ফজলুর মা মজিরন বেওয়া, বোন হামিদা বেগমসহ স্বজনরা সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সিলেট থেকে ফজলুকে ফিরিয়ে আনতে যাতায়াত ব্যয় হিসেবে আর্থিক অনুদান দেন জেলা প্রশাসক।    এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান সিলেটে অবস্থানরত ফজলু মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে পরিবারের সদস্যদের কথা বলান এবং পরিচয় নিশ্চিত হন। এরপর ফজলুর দুই মামা শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে জিম্মাদার তেতলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিন রাসেলের বাড়িতে পৌঁছেন। সে সময় স্বজনরা ফজলু মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।এ সময় ফজলু প্রায় ২৫ বছর পরও মামাদের চিনতে পারেন। এরপর ফজলুকে তার নিজ বাড়ি জামালপুরে ফিরিয়ে আনার জন্য শনিবার সকালে ফজলুর মা মজিরন বেওয়া, বোন হামিদা বেগম, ভগ্নিপতি মন্টু মিয়া, নানা মৌলভী হাসমত উল্লাহসহ পরিবারের সাত সদস্য মাইক্রোবাসযোগে সিলেটের সুরমা থানার ধরাধরপুর এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।এদিকে, শুক্রবার রাতে জামালপুর জেলা প্রশাসক ফজলু মিয়ার গ্রামের বাড়ি শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাউনিয়া গ্রামে গিয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সিলেটে ফজলুর পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা করতে সেখানকার প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেন। পরে সিলেটে যাতায়াতের জন্য ফজলুর পরিবারকে ১২ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়।এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, ফজলু মিয়াকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে শনিবারে তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা সিলেট গিয়েছেন। সিলেটে ফজলুর পরিবারকে সহযোগিতা করতে সেখানকার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফজলুকে ফিরিয়ে আনতে জামালপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।    শুভ্র মেহেদী/এআরএ/পিআর

Advertisement