বরিশাল নগরীতে নামিদামি কোম্পানির নাম বিকৃত করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল বিক্রির দায়ে সাতজনকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে নকল ওসব সামগ্রী সরবরাহের দায়ে দুই ব্যক্তিকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
সোমবার দুপুরে (২২ জুন) নগরীর গির্জা মহল্লা ও চকবাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঢাকার ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল (৩০) ও পটুয়াখালীর সজল জমাদ্দার ওরফে রাজিব (৩৪)।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। তাকে সহায়তা করেন ওষুধ প্রশাসন ও মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, দেশের নামিদামি ওষুধ কোম্পানির নাম বিকৃত করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল বিক্রি করা হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে দুপুরে নগরীর গির্জা মহল্লা ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় দেখা যায় এসিআইয়ের নাম বিকৃত করে এজিআই, একইভাবে ওরিয়নকে ওরিওনা, হেক্সিসলকে হেক্সিসলি, হেক্সিওল, হেক্সাসল, স্যাভলনকে স্যাবরন ও স্যাবলন নামে বোতলজাত করে বিক্রি করা হচ্ছে। নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল বিক্রির দায়ে এ সময় সাত বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে নকল ওসব সামগ্রী সরবরাহের দায়ে দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
Advertisement
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুইজন ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানান ঢাকার মিডফোর্ড এলাকার মো. রাকিব নামের এক ব্যক্তির সহায়তায় লঞ্চে এবং কুরিয়ার সার্ভিসে এসব নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল এনে বরিশালে বাজারজাত করতেন। পরে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল ধ্বংস করা হয়।
সাইফ আমীন/এএম/পিআর