জাতীয়

৬৫ এমপির নমুনা পরীক্ষার ফলে সবাই নেগেটিভ

৬৫ জন এমপির করোনা (কোভিট-১৯) পরীক্ষা করে সবারই নেভেটিভ পেয়েছে জাতীয় সংসদ। গত শনিবার ২০ এবং রোববার ৪৫ জনের নমুনা নেয়া হয়েছিল। আজ সোমবার আরও ২৬ জনের নমুনা নেয়া হলেও আগামীকাল মঙ্গলবার এর ফলাফল পাওয়া যাবে। সংসদের এক সূত্র জাগো নিউকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

Advertisement

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে তিন দিন ধরে তাদের নমুনা নেয়া হচ্ছিল। আগামীকাল মঙ্গলবারও তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।

একের পর এক এমপি-মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এবার এমপিদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় সংসদ। সংসদের চলমান অধিবেশনের কার্যদিবসগুলোয় অংশ নেবেন এমন ১৭০ জন সদস্যকে নমুনা পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছে। সংসদের বাজেট অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক আগামীকাল ২৩ জুন থেকে আবার শুরু হচ্ছে। এসব এমপি পর্যায়ক্রমে এই অধিবেশনে যোগ দেবেন।

এর আগে সংসদের কর্মরতদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও এমপিদের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা ছিল না।

Advertisement

জানা যায়, সংসদ সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত। এ ছাড়া সেখানে কর্মরত ৮২ আনসার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর গত রোববার (২১ জুন) পর্যন্ত ১৫ জন এমপি-মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জানান, এই পরীক্ষা করা বাধ্যমতামূলক নয়। অধিবেশনের আগামী চার কার্যদিবসে অংশ নেবেন এমন এমপিদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য চিঠি দিয়েছি। আমরা সবার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই এটি করছি। কারণ, সংসদে ইতোমধ্যে অনেকের করোনা ধরা পড়েছে। আমরা চাই, এটি আর ছড়িয়ে না পড়ুক।

এর আগে সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে সংসদের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা করানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন গণসংযোগ শাখার পরিচালক ও উপসচিব মো. তারিক মাহমুদ, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ওয়ারেছ হোসেন, টিভি প্রডিউসার মাসুম বিল্লাহ, কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, কর্মচারী নেতা আতর আলী প্রমুখ।

করোনা পজিটিভ হওয়াদের অনেকেই স্পিকারের দফতরে অবাধে যাতায়াত করতেন। অধিবেশন চলাকালীন অনেকেরই সংসদ কক্ষে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল।

Advertisement

১০ জুন থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। এরই অংশ হিসেবে সংসদে দায়িত্বরতদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়। অনেক আগে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ক্রমাগত করোনা রোগী পাওয়ায় এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এইচএস/এসএইচএস/এমএস