আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন নভেম্বরের মধ্যে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Advertisement
রোববার ইসি সচিব মো. আলমগীর স্বাক্ষরিত কমিশনের এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যা সোমবার (২২ জুন) গণমাধ্যমে জানানো হয়।
গত ৬ মে বার্ধক্যজনিত কারণে হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা যান।ফলে ওইদিন আসনটি শূন্য হয়েছে বলে এরই মধ্যে গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। তাই পরবর্তী ৯০ দিন অর্থাৎ দৈব দুর্বিপাকজনিত সময়ের মধ্যে আগামী নভেম্বরের মধ্যে এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনের ভোটগ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে ভোটগ্রহণের কথা। কিন্তু করোনার কারণে সব নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি। এ ক্ষেত্রে দৈব-দুর্বিপাক জনিত কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে সংরক্ষিত পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করবে সংস্থাটি।
তবে ইসির প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বগুড়া-১ (আসনটি শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি) এবং যশোর-৬ (শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি) আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসন ১৫ জুলাই এবং যশোর-৬ আসন ১৮ জুলাই দৈব দুর্বিপাকজনিত সময়ও শেষ হচ্ছে।
আবার সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর কারণে গত ২ এপ্রিল শূন্য হয় পাবনা-৪ আসন। এ আসনে উপনির্বাচন করার কথা ৩০ জুনের মধ্যে। আবার গত ১৪ জুন সাবেক মন্ত্রী ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য বলে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এ চারটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে ইসি সচিবের প্রজ্ঞাপনে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এইচএস/এএইচ/এমএস
Advertisement