দেশজুড়ে

শিবচরে চলছে কঠোর লকডাউন

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত দেশের ১০ জেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ অবস্থায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রেড জোনে চলছে কঠোর লকডাউন। তবে জেলার অন্য রেড জোনে তেমন কঠোর লকডাউন কার্যক্রম নেই।

Advertisement

মাদারীপুর সদর উপজেলা, কালকিনি, রাজৈরের রেড জোন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। লকডাউন কার্যকরে শিবচর উপজেলার প্রায় এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি আড়াইশ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছেন।

রেড জোনে সাধারণ ছুটির আওতায় রয়েছে- মাদারীপুর পৌরসভার ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ছিলারচর, ঝাউদি, খোয়াজপুর, ধুইরাইল, মস্তফাপুর নিয়ে পাঁচ ইউনিয়ন।

শিবচরে রেড জোন চিহ্নিত পৌরসভার তিন ওয়ার্ড ও আট ইউনিয়ন। কালকিনি পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং ডাসার, গোপালপুর, আলীনগর এবং শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন। রাজৈর পৌরসভার ছয় ওয়ার্ড এবং উপজেলার চার ইউনিয়ন লকডাউনের আওতায় রয়েছে।

Advertisement

শিবচরের রেড জোন হলো- পৌরসভার ১, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড। ইউনিয়নগুলো হলো- শিবচর, দ্বিতীয়খন্ড, বহেরাতলা দক্ষিণ, বাশকান্দি, ভদ্রাসন, কাদিরপুর, মাদবরচর ও পাচ্চর। এই উপজেলায় ইয়েলো জোন হলো- বহেরাতলা উত্তর, উমেদপুর, চরজানাজাত ও কুতুবপুরসহ চার ইউনিয়ন।

গ্রিন জোনের তালিকায় রয়েছে পৌরসভার ২, ৩, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ও দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী, সন্ন্যাসিরচর, বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি, ভান্ডারিকান্দিসহ সাত ইউনিয়ন।

শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম বলেন, দেশের প্রথম লকডাউনকৃত শিবচরে ১৭ জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় চলছে কঠোর লকডাউন। শিবচর উপজেলার রেড জোন এলাকায় দুপুর ১২টার পর ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পুলিশের পাশাপাশি প্রায় আড়াইশ স্বেচ্ছাসেবক লকডাউন কার্যকরে উপজেলায় কাজ করছেন।

শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান বলেন, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় বসবাসরত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি প্রযোজ্য হবে। এই ছুটির মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটিও অন্তর্ভুক্ত। সাধারণ ছুটি চলাকালে এসব এলাকার লোকজনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। জরুরি পরিষেবা সাধারণ ছুটির বাইরে থাকবে। আদেশ অনুযায়ী এসব এলাকায় ২১ জুন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাধারণ ছুটি থাকবে। কোন রেড জোনে কোন ২১ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে আদেশে তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

Advertisement

এ কে এম নাসিরুল হক/এএম/এমএস