আরও একবার দিল্লিতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় অবহেলার কারণেই মৃত্যুবরণ করেছেন ভারতের জাতীয় পর্যায়ের সাঁতারু আশুতোষ।
Advertisement
গত ১৭ জুন দিল্লির লেডি হার্ডিং হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ বছর বয়সী আশুতোষ। তার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসার অপ্রতুলতা এবং দায়িত্বরতদের অবহেলার কারণেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন আশুতোষ।
শুধু তাই নয়, অভিযোগ পাওয়া গেছে যে মৃতদেহ হস্তান্তরের সময়েও আশুতোষের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানাচ্ছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
জানা গেছে, গত ১০ জুন হুট করেই আশুতোষ অসুস্থ বোধ করলে তাকে লেডি হার্ডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, একটি বেড অযথাই দখল না করে, আশুতোষকে যেন বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার।
Advertisement
পরে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক স্বাস্থ্যসেবা দিতে থাকে আশুতোষের পরিবার। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। চারদিন পর তার পরিবার যখন লেডি হার্ডিং হাসপাতালে গিয়ে রিপোর্ট চায়, তখন হাসপাতাল থেকে জানানো হয় যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টটি হারিয়ে গেছে।
উপায় না দেখে বাইরে অন্য জায়গায় আশুতোষের করোনা পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় তিনি আরও আগে থেকেই কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। পরদিন থেকেই অবস্থার ভয়াবহ অবনতি ঘটতে থাকে আশুতোষের। যার ফলে তখন তড়িঘড়ি করে আবার লেডি হার্ডিং হাসপাতালে নেয়া হয় আশুতোষকে। এবার তাকে ভর্তি নেয়া হয় ঠিক। তবে পরিবারের অভিযোগ আশুতোষকে একটি বেডে রেখেই নিজেদের কাজ শেষ মনে করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোনো ডাক্তারও দেখতে আসেননি তাকে।
দিল্লির করোলবাগ এলাকায় পরিবারকে নিয়ে থাকতেন আশুতোষ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছেন তিনি। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, আশুতোষ দিল্লির হয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতা করতেন এবং শিভাজি স্টেডিয়ামে বাচ্চাদের সাঁতার শেখাতেন। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement