আন্তর্জাতিক

দ. কোরিয়ায় ফিরল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ

প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী সিউলের আশপাশের এলাকায় এই সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কোরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি)।

Advertisement

যদিও এর আগে সংস্থাটি বলেছিল, আসলে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউই শেষ হয়নি। তবে সোমবার কেসিডিসির পরিচালক জিওং ইনান-কিয়ং বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে, মে মাসের শুরুর দিকের সাপ্তাহিক ছুটির পর থেকে বৃহত্তর সিউলে সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। এই ছুটির আগে সিউলের আশপাশে খুব অল্প রোগী পাওয়া যেত।

নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমাদের ধারণা- মেট্রোপলিটন এলাকায় করোনার প্রথম ধাপের সংক্রমণের ধাক্কা ছিল ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে। তারপর আমরা দেখতে পাচ্ছি- মে মাসের ছুটির পর দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ চলছে।

গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দক্ষিণ কোরিয়া করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়। ওই সময় চীনের বাইরে করোনা মহামারির প্রথম ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দেশটিতে দিনে ৯ শতাধিক রোগী শনাক্ত হতে থাকে।

Advertisement

পরে ব্যাপক পরিসরে ট্র্যাকিং এবং পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও এপ্রিলের শেষের দিকে শনাক্তের সংখ্যা এক অংকের ঘরে নেমে আসে। কিন্তু মে মাসের শুরুতে দেশটির সামাজিক দূরত্বের বিধি-বিধান শিথিলের ঘোষণা দেয়ার পরপরই সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। সাপ্তাহিক ছুটিতে সিউলের কিছু নাইটক্লাব এবং বার থেকে সিউলের ব্যাপক সংখ্যক তরুণের মাঝে ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়।

কেসিডিসির পরিচালক জিওং ইনান-কিয়ং বলেন, আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম যে, আগামী শরৎ অথবা শীতে ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। আমাদের পূর্বাভাষ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। লোকজন যেহেতু অন্যদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসছে, আমাদের বিশ্বাস- এই সংক্রমণ আরও বাড়বে।

প্রায় এক মাসের বেশি সময় পর এক অংকের ঘর পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় রোববার নতুন করে আরও ১৭ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তার আগের দু'দিন দেশটিতে যথাক্রমে ৪৮ এবং ৬৭ জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৪৩৮ এবং মারা গেছেন ২৮০ জন।

Advertisement

সূত্র: রয়টার্স।

এসআইএস/এমএস