করোনা মহামারির সময়ে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম না বাড়ালে কি হতো না-এমন প্রশ্ন রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পানির দাম বাড়ানোর ওপর আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
Advertisement
সোমবার (২২ জুন) ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদালতে আজ ওয়াসার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
রিটের শুনানির বিষয়ে আদালতের বরাত দিয়ে তানভীর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমি আদালতকে বলেছি, নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছরে একবার পানির দাম বাড়ানোর কথা। কিন্তু তারা এক বছরে দুইবার পানির দাম বাড়িয়েছেন। এটি যুক্তিসঙ্গত নয়।’
Advertisement
তবে পানির দাম বাড়ানোর যুক্তির বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও ওয়াসার পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি কার্যকর হয়ে গেছে। গত এপ্রিল মাসে সেটি বাড়ানো হয়েছে।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘তখন তো হাইকোর্ট বন্ধ ছিল। এর প্রতিকার চেয়ে তারা যাবে কোথায়? তাই এখন এসেছে।’ এক পর্যায়ে আদালত বলেন, করোনা মহামারির সময়ে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম না বাড়ালে কি হতো না?
রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ রিট আবেদনটির শুনানি শেষে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের বর্ধিত যে ২৫ ভাগ বিল, সেটার (পানির দাম) বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দেন। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ১০ আগস্ট পর্যন্ত।’
এর আগে ২৫ শতাংশ বাড়ানো ওই দামের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ১৫ জুন রিট আবেদন করেন তানভীর আহমেদ।
Advertisement
আবেদনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, ঢাকা ওয়াসা, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পানির দাম বাড়িয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আবাসিকে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা করা হয়েছে।
এছাড়া বাণিজ্যিক সংযোগে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়।
এফএইচ/এসআর/এমকেএইচ