সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া ব্রাজিল ও নেদারল্যান্ডস আজ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে। দুই দলের কাছেই ম্যাচটি জয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার উপলক্ষ।দুই দলের হেড টু হেডে এগিয়ে নেই কেউই। মোট ১১ ম্যাচে তিনটি করে জয় আছে ব্রাজিল ও নেদারল্যান্ডসের। বাকি ছয়টি ম্যাচ ড্র। তবে বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়ে ডাচরা। বিশ্বকাপে খেলা চার ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের জয় দুটি, ব্রাজিলের একটি। বাকি এক ম্যাচ ড্র। তবে দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে এর আগে দেখা হলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও নেদারল্যান্ডস।বিশ্বকাপ জয়ের আশা শেষ হয়ে যাওয়ায় এ ম্যাচ নিয়ে সে অর্থে উত্তাপ নেই। উচ্ছ্বাসও নেই। তবে দুই দলেরই প্রত্যাশা আছে জয় তুলে নেয়ার। নেদারল্যান্ডসের কাউটস যেমন বললেন, ‘কোচ সবসময় জয় চান এবং জয়ের ব্যাপারে মরিয়া থাকেন।’ অবশ্য ডাচ কোচ লুই ফন গাল নিজেই এ ম্যাচ নিয়ে খুব একটা উচ্ছ্বসিত নন। কেননা বিশ্বকাপের মতো আসরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের কোনো প্রয়োজনই দেখেন না তিনি। ডাচ কোচ বলেন, ‘বিশ্বকাপে সবাই আসে শিরোপা জিততে। তৃতীয় কিংবা চতুর্থ হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে কেউ আসে না।’নেদারল্যান্ডস আজো বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা স্পেনের কাছে হেরেছিল। এবার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্ন গুঁড়িয়েছে তাদের। অন্যদিকে ব্রাজিল এবার বিশ্বকাপের আয়োজক। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার নেমেছিল হেক্সা বা শিরোপা ষষ্ঠক পূরণের মিশনে। কিন্তু জার্মানির কাছে সেমিতে ১-৭ গোলে ভরাডুবি হয়েছে স্কলারির দলের। তবে বিশ্বকাপের স্বপ্ন ধূলিসাত্ হয়ে গেলেও আজ জয় চান স্কলারি, ‘এ মুহূর্তে আমাদের একটা লক্ষ্য আছে। শনিবারের (আজ) তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।’বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে দুবার তৃতীয় হয়েছে ব্রাজিল। ১৯৩৮ সালে প্রথমবার এবং এরপর ১৯৭৮ সালে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল তারা। অর্থাত্ ৩৬ বছর পর ফের তৃতীয় স্থান নির্ধারণের জন্য আজ ব্রাসিলিয়ায় নামবে তার দল। এর আগে কখনো তৃতীয় হয়নি নেদারল্যান্ডস। এ পর্যন্ত তিন আসরের (১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ২০১০) ফাইনাল খেলেছে তারা। ১৯৯৮ সালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলেছিল ডাচরা। তবে ফ্রান্সের ওই আসরে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ১-২ গোলে হেরে চতুর্থ হয় তারা। ব্রাজিল একবারই চতুর্থ স্থান পেয়েছে, সেটা ১৯৭৪ বিশ্বকাপে।তবে পরিসংখ্যান যা-ই বলুক না কেন, আজ ব্রাজিলের যেমন সম্ভাবনা আছে, তেমনি হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কাও আছে। কেননা বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে ১৯৩৮ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথমবারের মতো ১১ গোল হজম করেছে স্কলারির দল। ১১ গোলের ৭টিই আবার জার্মানির বিপক্ষের সেমিফাইনালে খেয়েছে তারা! তাছাড়া আজ সিলভা থাকলেও নেইমার নেই। অন্যদিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও ফন গাল সেরা সব ফুটবলারকেই পাবেন। জয়ের সম্ভাবনার পাল্লা তাই নেদারল্যান্ডসের দিকেও একেবারে কম ঝুঁকে থাকবে না।
Advertisement