জিম্বাবুয়ের ধনীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। দীর্ঘদিনের গচ্ছিত সম্পদ হারানোর ভয়ে রয়েছেন তারা। এর কারণ হলো ধনীদের সম্পদের উৎসের সন্ধানে নেমেছে জিম্বাবুয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ অভিযানে যারা তাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দিতে ব্যর্থ হবেন, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
Advertisement
দুর্নীতিবিরোধী এই অভিযানকে ‘ধনীদের নিবিড় লাইফস্টাইল অডিট’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি লইস মাতান্দা-ময়ো।
প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের। নিম্ন সেবা ও দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে দেশটির জনগণের।
জিম্বাবুয়ের সানডে নিউজকে বিচারপতি মাতান্দা-ময়ো বলেছেন, “কিছু ধনী ব্যক্তির ওপর এটি ‘একটি নিবিড় লাইফস্টাইল অডিট’। তারা কী ধরনের পণ্য উৎপাদন করছেন বা সেবা দিচ্ছেন তার তালিকা দেখাতে হবে এবং এটি তাদের অর্জিত সম্পদ মূল্যের সঙ্গে সামজ্ঞস্যপূর্ণ হতে হবে। এছাড়া এ ধরনের লোকেরা বা তাদের প্রতিষ্ঠান কর দিচ্ছে কি-না তাও আমরা দেখব।”
Advertisement
এ ধরনের অভিযানের জন্য ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতা দেয়া হয় জিম্বাবুয়ের দুর্নীতি দমন কমিশনকে। এ ক্ষমতার বলে সম্পদের উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা তলব করতে পারবে দুদক। দেশটির এ-সংক্রান্ত আইনটি ‘অব্যাখ্যায়িত সম্পদ আদেশ’ নামে পরিচিত।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হতে পারবেন ভুক্তভোগীরা। তবে তারা আদালতের আশ্রয় না নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
তবে জিম্বাবুয়েই প্রথম কোনো দেশ নয় যারা এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে। আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশই অব্যাখ্যায়িত সম্পদ আইন পাস করতে ২০১৭ সালে তাদের আইন পরিবর্তন করেছে।
এসআর
Advertisement