করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য দু’দিনে ৬৫ জন সংসদ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার (২০ জুন) ২০ জনের এবং রোববার (২১ জুন) ৪৫ জনের নমুনা নেয়া হয়। তবে গতকাল ২০ জনের নেয়া নমুনায় কারও পজিটিভ আসেনি। আর আজ নেয়া নমুনার ফলাফল আগামীকাল সোমবার পাওয়া যাবে।
Advertisement
রোববার সংসদ সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
একের পর এক এমপি-মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এমপিদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় সংসদ। সংসদের চলমান অধিবেশনের কার্যদিবসগুলোয় অংশ নেবেন এমন ১৭০ জন সদস্যকে নমুনা পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছে। সংসদের বাজেট অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক ২৩ জুন থেকে আবার শুরু হচ্ছে। এসব এমপি পর্যায়ক্রমে এই অধিবেশনে যোগ দেবেন।
এর আগে সংসদের কর্মরতদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও এমপিদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না।
Advertisement
জানা যায়, সংসদ সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে কর্মরত ৮২ আনসার সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ১৫ জন এমপি-মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোহাম্মদ নাসিমের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুলাহর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, ‘এই পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়। অধিবেশনের আগামী চার কার্যদিবসে অংশ নেবেন এমন ১৭০ এমপিকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য চিঠি দিয়েছি। আমরা সবার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই এটি করছি। কারণ, সংসদে ইতিমধ্যে অনেকের করোনা ধরা পড়েছে। আমরা চাই, এটি আর ছড়িয়ে না পড়ুক।’
এর আগে সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে সংসদের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা করানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন- গণসংযোগ শাখার পরিচালক ও উপসচিব মো. তারিক মাহমুদ, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ওয়ারেছ হোসেন, টিভি প্রডিউসার মাসুম বিল্লাহ, কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, কর্মচারী নেতা আতর আলী প্রমুখ।
করোনা পজিটিভ হওয়াদের অনেকেই স্পিকারের দফতরে অবাধে যাতায়াত করতেন। অধিবেশন চলাকালীন অনেকেরই সংসদ কক্ষে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল।
Advertisement
১০ জুন থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। এরই অংশ হিসেবে সংসদে দায়িত্বরতদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়। অনেক আগে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ক্রমাগত করোনা রোগী পাওয়ায় এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এইচএস/এফআর/এমকেএইচ